খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : নারী ও কন্যাশিশুর ক্ষমতায়নে শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে নারী ও মেয়ে শিশু ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় দীঘিনালার মাইনী স্কুল এন্ড কলেজে উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং ভিজিট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে মাইনী স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্টের জেলা কর্মকর্তা সুকেতন চাকমা, প্রকল্পের দীঘিনালা উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর পিপি রানী ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর মংসানু মারমা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রেনা চাকমা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ধন প্রদীপ চাকমা, কমিটির অন্যান্য সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী ও মা-দল সদস্যরা।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ১০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে। গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের আওতায় স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, সেইফ স্পেস রুম, ডিগনিটি কিটস, টয়লেট নির্মাণ, শ্রেণিকক্ষ সংস্কার, নিরাপদ পানি সুবিধা, হোস্টেল সংস্কার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মনিটরিং ভিজিটে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা এসব সুবিধা ও কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন,
“পিছিয়ে পড়া নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পরিচালিত এ প্রকল্পটি উপজেলার কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
জানা যায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার ৯টি উপজেলায় ১০৪টি প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চলমান,মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ডিজিটাল সুবিধা প্রদান,নিরাপদ টয়লেট, হোস্টেল ও শ্রেণিকক্ষ সংস্কার,নারী ও কন্যাশিশুর ক্ষমতায়নে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা কার্যক্রম।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে দীঘিনালার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।