গণপরিবহন বন্ধে দিনে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা

অর্থনীতি জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) কারণে বন্ধ গণপরিবহন। তবে সীমিত আকারে চলছে সিএনজি অটোরিক্সা, ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান। এ খাতে প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলে দাবি পরিবহন মালিকদের। তাই এ খাতে সহজ শর্তে ঋণের পাশাপাশি পরিবহনের নিবন্ধনের মেয়াদ ৬ মাস সময় বাড়ানোর দাবি তাদের।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলায় জেলায় লকডাউন। টার্মিনালে পড়ে আছে দূরপাল্লা আর আন্তঃজেলায় চলাচলকারী প্রায় এক লাখ গণপরিবহন। এসব গণপরিবহন বন্ধ পড়ে থাকায় বেকায়দায় পরিবহন মালিকরা।
সীমিত আকারে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করলেও যাত্রী কম থাকায় কাঙ্খিত ভাড়া পাচ্ছেন না তারাও। তাই গাড়ির কিস্তি পরিশোধ নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন অনেকে।
কাভার্ডভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ থাকায় ভাড়া কম পাচ্ছেন তারা। এতে পরিবারের খরচ চালাতেও হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।
দেশে ৩ লাখ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান চলাচল করলেও ভাড়া কম থাকায় বিপুল লোকসানের দাবি বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির।
ট্রাক মালিকদের দাবি, পণ্য পরিবহনের জন্য মাত্র ১০ ভাগ ট্রাক সড়কে চলাচল করলেও ভাড়া কমে যাওয়ায় অলস পড়ে আছে বেশির ভাগ পরিবহন।
করোনাভাইরাসে পরিবহন সেক্টরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব। পরিবহন খাতের জন্য আলাদা প্রণোদনার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও যেসব পরিবহনের নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে সেগুলোর জন্য ৬ মাস সময় বাড়ানোর দাবি জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।


বিজ্ঞাপন