নিজস্ব প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভায় গত শনি ও রোববার শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের হামলার ঘটনায় সিন্ডিকেট তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং উদ্বেগ প্রকাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর বিশেষ নিরাপত্তায় মডেল থানা ও ১০টি আবাসিক হলের প্রস্তাব করে। সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের জানানো হয়।
২সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় প্রশাসনিক ভবনে আবাসন সংকট দূর করতে ১০টি আবাসিক হল নির্মাণ করার প্রস্তাব করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি ক্যাম্পাস-সংলগ্ন এলাকায় একটি মডেল থানা করারও প্রস্তাব করা হয়। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার পর সরকারের কাছে এসব প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানানো হয়।

এ জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যাম্পাস-সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের দুই দফা সংঘর্ষের পর এ জরুরি সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য ও সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মো. কামাল উদ্দিন, সদস্য মোহাম্মদ আলী, সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি, শাটল ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভবন ও কটেজের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা নিরসন করা, দুটি অ্যাম্বুলেন্স কেনা, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করা, রেলগেটে নিরাপত্তাচৌকি স্থাপন করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে সিন্ডিকেট সচিব ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গত শনি ও রোববার শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের হামলার ঘটনায় সিন্ডিকেট তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।