নিজস্ব প্রতিনিধি : ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত নজরুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের কর্মকাণ্ড নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, তারা এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। শেখ সোহেল ও শেখ হারুন রশীদ তার কাছের আপ্তিয়,বলে পরিচয়ে দিত।
জানা গেছে, নজরুল ইসলাম খানের বড় ছেলে মিলটন খান ২০২০ পিচ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। তার স্ত্রী প্রকাশ্যে বটিয়াঘাটা বাজারে জসমূখ্যেে একজনকে কুপিয়ে জখম করেছেন। আরেক চোট ভাই বাচ্চু খান আওয়ামী লীগের আমলে ১৭ বছর মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডের দখলনিয়ে ড্রাইভারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও খারাপ ব্যবহার করেছে,
স্থানীয়রা বলছেন, নজরুল ইসলাম খান সরকারি জমি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল, রাস্তার পাশে বসবাসকারীদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ এবং মহিলা মাদ্রাসা ও তামিম ঘর বিক্রি করার মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে একটি লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, নজরুল ইসলাম খান এবং তার পরিবার এলাকার মানুষের ওপর যে ধরণের অত্যাচার চালাচ্ছে, তা খুবই নৃশংস। তারা লাঠি, হাতুড়ি এবং চরিত্রহীন নারীদের ব্যবহার করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে। সাধারণ মানুষ এখন ভয়ে ঘরে আটকে থাকছে।
একাধিক সূত্র জানায়, বটিয়াঘাটা বাজার সংলগ্ন অটো রাইচ মিলের কাছে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত মহিলা মাদ্রাসা বিক্রি করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনার কারণে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাদের ক্ষমতা এত শক্তিশালী যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, নজরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা রাজনৈতিক বাধার কারণে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা আরও জানাচ্ছেন, নজরুল ইসলাম খান প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের সমর্থন নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার শক্তি ও প্রভাব এলাকায় ছড়িয়ে থাকা নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
অভিযোগকারী বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বাসি গন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যদি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে এখানকার সাধারণ মানুষ আরও বড় ধরনের নিপীড়নের শিকার হবে। আমরা চাই, ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
