স ম জিয়াউর রহমান : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে “নূরাল পাগলা” নামে পরিচিত এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, “ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি” নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাবশালী নেতারা। প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, এই কমিটির সদস্য সচিব হলেন গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী খান।
এই হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ, ঘটনার কিছুদিন আগেই (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) এই “ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি” একটি সংবাদ সম্মেলন করে নুরাল পাগলার কবর উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছিল। সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কমিটির সদস্য খন্দকার আবদুল মুহিত এবং সাইদুল সরদারসহ অন্যান্য আলেম-ওলামারা।

আরও জানা যায়, জেলা জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন এবং তার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরাও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি পরিকল্পিত হামলাকে “তৌহিদি জনতা”র স্বতঃস্ফূর্ত কাজ বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অনেকে মত দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এই পৈশাচিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এর নেপথ্যে থাকা অভিযুক্ত সকল নেতা-কর্মীকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।