দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন জীবনী সারাদেশ স্বাস্থ্য

*সর্বোচ্চ শনাক্ত-মৃত্যুর রেকর্ড
*রেড জোনে নামছে সেনাবাহিনী
*অনেকের শরীরে অ্যান্টিবডি চলে এসেছে

 

 

মহসীন আহমেদ স্বপন : করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণের মাত্রা অনুসারে সরকার ঘোষিত রেড জোনগুলোতে টহল জোরদার করতে নামছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেড জোনগুলোতে সরকারি নির্দেশাবলি যথাযথভাবে পালনের উদ্দেশে সেনাটহল জোরদার করা হচ্ছে।
করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ঢাকাসহ সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে এ বিষয়ে কর্মপন্থা গ্রহণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শুরুতে রেড এবং ইয়োলো দুটো জোনেই ছুটি থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলো সরকার। কিন্তু সেটা পরিবর্তন করে এখন কেবল সরকার ঘোষিত রেড জোনই সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শুরুতে সাধারণ ছুটির ব্যাপারে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তার পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন কেবল রেড জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে। কারণ সংক্রমণের হার বিবেচনায় রেড জোনভুক্ত অনেক এলাকাকে লকডাউন করা হবে। তাই বাধ্য হয়েই সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে হয়েছে। এর আগে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক নির্দেশনায় রেড এবং ইয়োলো দুটো জোনেই সাধারণ ছুটির ঘোষণার আসে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, আগের শর্তেই সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও সরকারি- বেসরকারি অফিস চলবে। তবে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সাপ্তাহিক ছুটি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, অনুমোদিত অঞ্চলে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান, রেল ও বিমান চলাচল করতে পারবে; তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া রাত আটটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। নির্দেশনা ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থা এবং জরুরি পরিষেবা। ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থল- নদী-সমুদ্রবন্দরে কার্যক্রম। টেলিফোন-ইন্টারনেট ও ডাক সেবা, জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী, কৃষিপণ্য, শিল্পপণ্য পরিবহনের যানবাহন, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকায় ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রামের দশটি এলাকা।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাকালে রাত ৮টার পর বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
এছাড়া করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, শপিংমলগুলো চালু থাকবে। তবে তা অবশ্যই বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ দিকে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ছোবলে দেশে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে আরও ৫৩ জনের প্রাণ। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক হাজার ২৬২ জনে। একই সময়ে নতুন করে আরও তিন হাজার ৮৬২ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে বুলেটিন পড়েন।
তিনি মোট ৬১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ হাজার ৪০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ২১৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৭১৭টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৮৬২ জনের দেহে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ২৬২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৩৭ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৩৬ হাজার ২৬৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৭ জন এবং নারী ছয়জন। এদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব নয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব আটজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা গেছেন। ৩০ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের, চারজন রাজশাহী বিভাগের এবং একজন করে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের। ৩৪ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, ১৮ জন বাসায় এবং একজনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
গত সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ হাজার ৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৯৯ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এবং রোগী শনাক্ত- উভয়ই বেড়ে হয়েছে নতুন রেকর্ড। এর আগে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ৪৬ জনের এবং সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের রেকর্ড ছিল তিন হাজার ৪৭১ জনের। দুটি রেকর্ডের কথাই জানানো হয় গত ১২ জুনের বুলেটিনে।
মঙ্গলবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৬৩৫ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৯ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৫৯ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ছয় হাজার ১৭৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৩০২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন হাজার ৪২১ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৭৭৯ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৫৪৪ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৬৪ হাজার ২৩৩ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬২ হাজার ৫৪৬ জন।
দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা। তিনি বলেন, নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিজেদেরই হাতে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৫০০শ’র বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০’র মতো মানুষ। অপরদিকে সেরে উঠেছেন প্রায় ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ঢাকার অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি চলে এসেছে: দেশে যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে অধিক মানুষ করোনা থেকে সেরে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ড. বিজন কুমার শীল। এছাড়াও ঢাকার অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টবডি চলে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানী ড. বিজন।
তিনি বলেছেন, আমার মনে হয়, আমরা ইতোমধ্যে করোনার পিক টাইমে চলে এসেছি কিংবা কাছাকাছি এসেছি। আমার যেটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, আপনারা যে পরিমাণ আক্রান্ত দেখেছেন, তার চেয়ে অধিক মানুষ কিন্তু (করোনা থেকে) সেরে উঠেছেন এবং তারা তা জানেন না। তাদের কোনো আইডিয়াই নেই। হয়তো তাদের একটু গা ব্যথা করেছে, হালকা জ্বর হয়েছে, একটু কাশি হয়েছে বা একটু পেটে সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু তারা এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, যাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) এসে গেছে, তারা কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ তাদের ভেতরে ভাইরাস গ্রো করতে (টিকতে বা বেড়ে উঠতে) পারবে না। ভাইরাস যখনই গ্রো করতে না পারবে, তখন ভাইরাসের পরিমাণ কমে আসবে। যখনই কমে আসবে, তখনই মানুষ আর আক্রান্ত হবে না। এটা খুব দ্রুত কমে যাবে। কারণ, ঢাকা শহরেই অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি চলে এসেছে, তারা এই ভাইরাসকে তৈরি হতে আর সাহায্য করবে না। সঙ্গত কারণেই তখন ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাবে এবং আমরা সবাই তখন এর থেকে পরিত্রাণ পাব।


বিজ্ঞাপন