সড়কে ঝরল ১১ প্রাণ

জাতীয় সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তার আগের দিন সড়কে ঝরল শিশু ও নারীসহ ১১ জনের প্রাণ। পৃথক এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর নিচে তুলে ধরা হলো-


বিজ্ঞাপন

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার লামা তাজপুরের তানপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা প্রাইভেটকারের যাত্রী।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা থেকে সিলেটগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট বাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতরা প্রাইভেটকারের যাত্রী। তারা ঢাকা থেকে সিলেটে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।’

হবিগঞ্জের বাহুবলে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৬টায় উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুটিজুরী এলাকার আব্দানারায়ন কালিবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রুহেলের স্ত্রী শাহিদা (৩৫), ফিরোজ মিয়ার মেয়ে মালেহা (৩৫)। অপর নিহত প্রাইভেটকারচালকের পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, ঢাকা গাজীপুর থেকে ঈদুল আজহার ছুটিতে গার্মেন্টস শ্রমিক শাহিদা স্বামীসহ একই এলাকার তিন সহকর্মীকে নিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে প্রাইভেটকারযোগে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী এলাকার আব্দানারায়ন কালিবাড়ি নামক স্থানে এসে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালক ও গার্মেন্টস কর্মী মালেহা নিহত হন এবং চারজন গুরুতর আহত হন।

আহতরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রাহুলের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী শহিদা (৩৫), পিরোজ মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫), শুকুর আলীর ছেলে রুহুল (৩০) ও শহিদ মিয়ার মেয়ে নাজমা (৩০)। বাহুবল হাসপাতালে নেয়ার পর গার্মেন্টস কর্মী শাহিদা মৃত্যুবরণ করেন।

খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ও শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটি রাস্তা থেকে সরিয়ে আধা ঘণ্টা পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাইভেটকারটি নিয়মবহির্ভূত অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংর্ঘষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬ জন। শুক্রবার সকালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের নুনদহ ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জের সাহেদ মিয়া (৪০), কাজল মিয়া (৩২) ও গঙ্গাচড়া উপজেলার শাকিল ইসলাম (৫৬)।

হতাহতরা সবাই কর্ভার্ডভ্যানের যাত্রী। তারা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিল।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক এনামুল হক জানান, সকাল ৭টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ও গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ২টি দল হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। এসময় বন্ধ থাকা কাভার্ডভ্যানের মধ্যে মৃত অবস্থায় ৩ জনকে ও ৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।