বিএনপির সব খবরই সরকারের কাছে আছে: কাদের

রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি নেতারা বিদেশে বসে সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করে আবার দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলে। এতে তাদের দ্বিচারিতা এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সকালে ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
বিএনপি এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তি একটি বিদেশি সংস্থার সাথে গোপনে বৈঠক করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন এটিই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা কখনো জেদ্দা, কখনো আবুধাবি আবার কখনো লন্ডনে বসে গোপন বৈঠক করুক না কেন, সব খবরই সরকারের কাছে আছে।
গোপন বৈঠক আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই, রাজনীতি করতে হবে জনগণের জন্য জানিয়ে ওবায়দুল কাদের জনগণের মন জয় করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে জনমানুষের কাছে আসুন, বিদেশি শক্তি বা কোনো সংস্থার কাছে নয়।
করোনায় মানুষের মধ্যে গাঁ-ছাড়া ভাব আসছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন আসছে ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেকেই গা-ছাড়া ভাব দেখা দিয়েছে, অবহেলা করছেন এবং মাস্ক পরিধান করছে না।
কার্যকর ও সর্বজনগ্রাহ্য ভ্যাকসিন কবে আসবে তা এখনো সুনিশ্চিত নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধানই সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক। করোনার সংক্রমণ রোধে সচেতনাই হচ্ছে উত্তম ভ্যাকসিন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রায় সাত শত মিটার দীর্ঘ কালনা সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। মধুমতি নদীর দুপাড়ের মাঝে সেতুবন্ধ তৈরি ছাড়াও কালনা সেতুটি পদ্মা সেতুর সাথে সংযুক্ত বিধায় পদ্মা সেতুর সুবিধা পেতে হলে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা জরুরি বলে জানান তিনি।
কাদের বলেন, ইতিমধ্যেই কালনা সেতুটি শতকরা ৩৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতুর কাজের সাথে সমন্বয় রেখে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।


বিজ্ঞাপন