মাস্ক না পরলে সেবা নয়

জাতীয় স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাস্ক না পরলে সেবা নয়, এমন নির্দেশনা আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনির্মিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব জোন-২ এর উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো সেবা পেতে হলে সেবা গ্রহীতাদেরকে মাস্ক পরে আসতে হবে। মাস্ক না পরলে সেবা দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবাকে অনেক উন্নয়ন করেছি। উন্নত সেবা নিতে আমাদেরকে এখন আর বাহিরে যেতে হয় না। বাংলাদেশে সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশ যেখানে করোনা মোকাবিলায় হিমসিম খাচ্ছে সেখানে আমরা সফল। তড়িৎ গতিতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এমনটা হয়েছে।
সেকেন্ড ওয়েভের আশংকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শীত আসছে। করোনার প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এজন্য শীতকালিন সকল অনুষ্ঠান সীমিত করবেন। সবাই মাস্ক পরবেন এবং আমাদের গাইডলাইন অনুযায়ী চলবেন।
করোনা ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো দেশকে ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দেয়নি। যখনই কোনো দেশ স্বীকৃতি পাবে আমরা সবার আগে সেটি দেশে নিয়ে আসবো। ভ্যাকসিন আনতে সরকার অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা অব্যাহত রেখে চলেছে। ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলে আমাদের দেশে আনতে কোনো বিলম্ব হবে না।
সবশেষে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ৫ হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। একইভাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে ৭০০ শয্যা থেকে খুব শীঘ্রই ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে।
এছাড়া নতুন দুটি কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব বসানোর ফলে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ক্যাথল্যাবের ফলে মানুষ কম টাকায় উন্নত সেবা পাবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষীকিতে আমরা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এটি উৎসর্গ করলাম।
এ সময় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আরস্লান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।


বিজ্ঞাপন