কমেছে দারিদ্র্যের হার

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন

নো মাস্ক নো সার্ভিস ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ

 

বিশেষ প্রতিবেদক : ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ছিলো ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে হ্রাস পেয়ে যথাক্রমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ১০ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে সভায় যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। করোনার কারণে সামগ্রিক ক্ষতিটা (ওভারঅল হ্যাম্পার) আগামী বছর বুঝা যাবে বলেও জানান তিনি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাত্র তিন মাস করোনা ছিল। সুতরাং কতটুকু প্রভাব (ইমপ্যাক্ট) হলো সেটা এই নতুন অর্থ বছরে বোঝা যাবে।
বৈঠকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপের খুবই খারাপ অবস্থা, অধিকাংশ দেশ লকডাউনে চলে গেছে। ফ্রান্সও গতকাল লকডাউন দিয়ে দিয়েছে। ফ্রান্সে এরই মধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, কেউ অনুমতি ছাড়া বাসা থেকে বের হতে পারবে না। বের হতে হলে আগে অনুমতি নিতে হবে, তাও অনুমতি পাবে এক ঘণ্টার জন্য।
এগুলো বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় বলেছেন- আমরা যেভাবে আছি সেটা স্বস্তিদায়ক, কিন্তু এতে সন্তুষ্টির কোনো কারণ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সামাজিক আন্দোলন, ক্যাম্পেইন যেভাবেই হোক এটাকে নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া যেন কেউ কোথাও চলাফেরা না করে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এরই মধ্যে সব সচিব, বিভাগ, বেসরকারি পর্যায়সহ সব জায়গায় বলে দিয়েছি। সেজন্য আপনাদের (গণমাধ্যম) সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, সব অফিসে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে- কোনোভাবেই যেন মাস্ক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সার্ভিস না দেয়া হয়। যেকোনো পাবলিক প্লেসেই মাস্কের বিষয়ে এই কঠোর নির্দেশনা কার্যকরী থাকবে।
সভায় ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়েছে। সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে ছুটি মিলিয়ে আগামী বছর মোট ছুটি হচ্ছে ২২ দিন। এই ২২ দিনের মধ্যে সাতদিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। মন্ত্রিসভা ২০২১ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন করায় এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি ১৪ দিন। আর সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে ৮ দিন। সব মিলিয়ে মোট ২২ দিন। তিনি আরও জানান, সাধারণ ছুটির মধ্যে ছয় দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। আর নির্বাহী ছুটির আট দিনের মধ্যে একদিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সব মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটির মধ্যে সাত দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে।
এর বাইরে মুসলমানদের বিভিন্ন উৎসবের জন্য ঐচ্ছিক পাঁচ দিন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আট দিন, খ্রিস্টানদের জন্য আট দিন এবং বৌদ্ধদের জন্য পাঁচ দিন ছুটি থাকবে। এছাড়া পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর জন্য দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি থাকবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ও মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।


বিজ্ঞাপন