তামিমের ব্যাটে বরিশালের জয়

এইমাত্র ক্রিকেট

স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রথম ম্যাচে খুব একটা সাফল্য পাননি তামিম ইকবাল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।


বিজ্ঞাপন

অধিনায়ক তামিম ইকবালের হাত ধরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। অন্যদিকে, তিন ম্যাচ খেলে এই প্রথমবার হারল রাজশাহী।


বিজ্ঞাপন

এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রাজশাহীর দেয়া ১৩৩ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বরিশাল।

দলটির অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৬১ বলে ১০টি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৭ বলে ২৩ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে মুকিদুল ইসলাম ২টি, মেহেদী হাসান ১টি ও ইবাদত হোসেন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

বরিশাল ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৫ রানে ওপেনার মিরাজকে হারায়। এরপর তামিম-ইমন জুটিতে দুর্দান্ত গতিতে এগোতে থাকে বরিশাল। দলীয় ৬৬ রানে ইমন ফিরে গেলেও তামিম দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৭তম ওভারে হৃদয় ও আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে দেন মুকিদুল। ১৯তম ওভারে ইরফার শুক্কুর রান আউট হলেও অঙ্কনকে নিয়ে তামিম দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে রাজশাহী। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। সপ্তম ওভারে মিড-অফে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারে মিরাজের বলে বোল্ড হন রনি তালুকদার।

দশম ওভারে দুইটি উইকেট হারায় রাজশাহী। গত ম্যাচে ভালো খেললেও এই ম্যাচে হতাশাজনকভাবে রান আউট হয়ে বিদায় নেন আশরাফুল। ৪ বল খেলে ৬ রান করেন তিনি। মিরাজের করা এই ওভারের শেষ বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ক্যাচন হন আনিসুল ইসলাম ইমন।

এরপর সোহান নেমে ২ বল খেলে ডিপ স্কোয়ার লেগে সুমন খানের হাতে ধরা পড়েন। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। দলীয় ৬৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর শেখ মেহেদী হাসান ও ফজেল মাহমুদ ৬৫ রানের পার্টনারশিপ করেন।

১৯তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ফুল টস ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারেন ফজলে মাহমুদ। লং অফে ক্যাচটি নেন তৌহিদ হৃদয়। ২০তম ওভারে তিনটি উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। ফেরান ফরহাদ রেজা, শেখ মেহেদী (২৩ বলে ৩৪ রান) ও রেজাউর রহমানকে।

বরিশালের বোলারদের মধ্যে কামরুল ইসলাম ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া আবু জায়েদ ১টি ও তাসকিন আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন।