নড়াইলে খালখননে স্বজনপ্রীতি

সারাদেশ

রাস্তা দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ

 

মো:রফিকুল ইসলাম : নড়াইলের সাহাবাদ ইউনিয়নের জুুড়ুলিয়ায় খালখননে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুর বিরুদ্ধে।
নড়াইলের ৪নং সাহাবাদ ইউনিয়নের জুুড়ুলিয়া ৬নং ওয়ার্ডে খালখননে স্বজনপ্রীতি,ভাইপ্রীতি,ও আত্বীয়করণ করে খালখনন করছে ইউপি সদস্য বাবু।
স্থানীয় নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তী অভিযোগ করে জানান,বাবু মেম্বার গায়ের যোঁর খাটিয়ে নিজের ইচ্ছামত খালখননের কাজ করছে।
তার অন্যা কাজে বাধাঁ দিলে বা কিছু বল্লে তার ইজ্জতে বাধে,পরে সুরু হয় অকার্থ ভাষায় গালমন্দ,গাছ পালা ঘর বাড়ি টিউবয়েল বাথরুমের উপর দিয়ে চালিয়ে দেয় এসকোমিটার।
এদিকে, উবাইদুর রহমানের ছেলে মুন্না, মুন্তাজ মোল্যার ছেলে আসলাম, লুৎফার মোল্যার ছেলে মনিরুজ্জামান,দুদু মোল্যার ছেলে জাকির,উবাইদুর মোল্যার ছেলে ইবরাহীম ইসলাম,সওকত মোল্যার ছেলে তপু মোল্যা, রস্তম মোল্যার ছেলে জাহিদ মোল্যা সর্ব সাং জুুড়ুলিয়া নড়াইল, অভিযোগ করে বলেন,খালখননে স্বজনপ্রীতি, ভাইপ্রীতি ও আত্বীয়করণ করে খালখনন করছে বাবু।
এক এক যায়গায় এক এক রকম খালখনন করছে, খাল আগে যেমন ছিলো তার চেয়ে খালখননের পরে আরো ছোট হয়ে যাচ্ছে কেন, এটা কি স্বজনপ্রীতি, ভাইপ্রীতি ও আত্বীয়করণ নয়, সরকারি খাল সরকারের নিয়ম মতই করা উচিৎ এবং এটাই আমাদের দাবি।
কারো মালিকানা যায়গায় খালখনন,কারো আবার সরকারি যায়গা ঘরের পাসে থেকে যাচ্ছে এটা কেমন আইন বলেও অভিযোগ করেন।
এদিকে সরজমিনে গিয়ে খালখননে দেখা যায় কিছু কিছু যায়গায় আপা কাটার মত হয়েছে আবার কিছু কিছু যায়গায় আগের চেয়েও খাল ছোট হয়েছে,জনগণের কল্যাণের জন্য সরকার কাজ করছেন এ কাজ সঠিক ভাবে করা উচিৎ বলেই মনে করেন গ্রাম বাসি।
জুড়ুলিয়া গ্রামের মুন্তাজ মোল্যার ছেলে আসলাম মোল্যা জানান, রাস্তা করে দেয়ার কথা বলে ৫ হাজার টাকার দাবি করেন মেম্বার বাবু,আসলাম ৫ হাজার টাকা না দিতে পারলেও ২ হাজার টাকা মেম্বার বাবুকে দেন কিন্তু বাবু রাস্তা বের করে দেন নি বলে সাংবাদিকদের জানান আসলাম।
স্থানীয়”রা আরো জানান,আপনারা চলে গেলে আমাদের সাথে ঝামেলা না করে,আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন,আমরা গরিব মানুষ,সত্যি কথা বলা ঠিক না।
খালখননে স্বজনপ্রীতি,ভাইপ্রীতি,ও আত্বীয়করণের বিষয়ে জুড়ুলিয়া ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,খালখননে স্বজনপ্রীতি,ভাইপ্রীতি,ও আত্বীয়করণ হয়নি বা হচ্ছে না,সরকারি খাল সরকারি মতেই খনন হচ্ছে।
টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবু বাজে ভাষায় উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন,কোন,,,,,,,,, যদি বলতে পারে আমি কোরো কাছথেকে টাকা নিয়েছি তাহলে আমার ফাসি যদিও হয় হোক,কিন্তু আমাকে লোক মারফাত টাকা দিতে চেয়ে ছিলো কিছু লোক আমি নি নাই বলে শিকার করেন।
সাহাবাদ ইউনিয়ের চেয়াম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না জানান,সরকারি টাকায় সরকারি খালখনন হবে এখানে কার বাড়ি,কার বাথরুম,কার টিউবয়েল থাকবে না এটার জন্য খালখননে স্বজনপ্রীতি হতে পারে না,সবার সরকারি যায়গা ছেড়ে দিয়ে সকল কিছু করা উচিৎ,টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি এমন কোন টাকা নেয়ার অভিযোগ পাইনি,আর যদি মেম্বার টাকা নিয়ে থাকে তাহলে সেটা তার ব্যাপার,এখানে টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নাই,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব বলেও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন