পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধনে যাচ্ছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাঙ্গন

বার বার আন্দোলন করেও সমস্যা কাটছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৩ এপ্রিল সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের মূল গেইট থেকে এই মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করবে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।


বিজ্ঞাপন

একাডেমিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুক্তভােগী সাত কলেজের প্রায় সকল শিক্ষার্থী।
শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিদের্শে অধিভুক্ত করা হয় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি সরকারি কলেজকে।


বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সেশনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং বিভিন্ন রকমের অনিয়মের উল্লেখ করছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যা ও অনিয়মের সমাধান করার কোন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন না বলে শিক্ষার্থীরা অভিযােগ তুলে ৫ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচদফা দাবি সমূহঃ

১ – পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটি মুক্ত ফলাফল প্রকাশ সহ একটি বর্ষের সকল বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ করতে হবে । ( ২০১২ – ১৩ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল ২০১৮ সালে প্রকাশিত হলেও সব বর্ষে পাশ থাকা সত্বেও এখনাে অনেকের সিজিপিএ আসে নি । তাই দ্রুত । সিজিপিএ সমন্বয় করতে হবে । ২০১৫ – ১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের অনার্স ২য় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই শেষ হলেও এখনাে সকল বিভাগের ফলাফল প্রকাশিত হয় নি )

২ – ডিগ্রী , অনার্স , মাস্টার্স সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশ সহ খাতার পুনঃ মূল্যায়ন করতে হবে । ( যেমন ইডেনের ২০১৬ – ১৭ সেশনের ইংরেজি বিভাগের ৩০০ জন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে শুধু বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ফেল করার শিক্ষার্থীরা আবার পুনরায় সবার খাতা পুনঃনিরীক্ষনের আবেদন করেন । পরবর্তীতে প্রকাশিত ফলাফলে ৩ / ৪ জন ছাড়া সবাই পাশ করে )

৩ – সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন চাই । ( স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন না থাকায় সাত কলেজের কার্যক্রম গুলাে স্থবির হয়ে পড়ছে । যেমনঃ ২০১৫ – ১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের মাস্টার্স এবং ডিগ্রি ২০১৬ – ১৭ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের পরীক্ষা ২০১৯ সালে এসেও এখনাে অনুষ্ঠিত হয় নি । ) ।

৪ – প্রতিমাসে প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মােট ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে । ( সেটা যদি ঢাবির পক্ষে সম্ভব না হয় তাহলে সাত কলেজের প্রশ্ন প্রনয়ণ এবং খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব অবশ্যই সাত কলেজের শিক্ষকদের দিতে হবে ) ।

৫ – সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেণ্ডার প্রকাশ সহ ক্রাশ প্রােগ্রামের চালু করা । ( সর্বোচ্চ ৯ মাসে শিক্ষা বর্ষ ধরে তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে ) ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *