শরণখোলায় স্বাস্থ্য কর্তার এ্যাম্বুলেন্স বানিজ্য

সারাদেশ

নইন আবু নাঈম : বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং, এ্যাম্বুলেন্স বানিজ্য, রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে অসাদাচরনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে সরকারী টিকেটের রোগীদের কোন প্রকার চিকিৎসা না দেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রোগী দেখা তার দায়িত্ব নয় বলে দম্ভোক্তি করা, রোগী ও তার স্বজনদের সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজে থাকা স্বত্বেও ব্যক্তি মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন এবং বেলা ৩টার পরে সরকারী বাসার চেম্বারে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ধণাঢ্য ও সম্পদশালী রোগীদের চিকিৎসা দেয় বলে অনুসন্ধানে উঠে এসছে এবং বিষয়টি নিয়ে বিগত দিনে বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচিত হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর অনুমান বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল কম্পাউন্ডের অভ্যন্তরে ব্যক্তি মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্সের মালিক ও চালকদের মধ্যে নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ব্যাপক হাতাহাতির একর্পযায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির সৃষ্টি হলে এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার রুবেল, বেল্লালসহ কয়েকজন মিলে অপর এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জাহিদকে মারধরের সময় স্থানীয় জনসাধারণ হাসাপতাল চত্বর থেকে তাদেরকে বের হতে বলায় উল্টো জনসাধারনের উপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে শরণখোলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হাসপাতাল কম্পাউন্ডে প্রবেশ করলে তাৎক্ষনিক তারা সটকে পড়ে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ব্যক্তি মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স রাখা রোগী পরিবহনের বিষয়টি জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ড্রাইভার জানান, আমরা প্রতিমাসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফরিদা স্যারকে এ্যাম্বুলেন্স প্রতি টাকা দেই, আপনাদের কিছু জানার থাকলে স্যারের কাছে যান।
বিষয়টি জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিনের কার্য্যালয়ে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি সংসদ সদস্য মহোদয়, সিভিল সার্জণ, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করব। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজে থাকা স্বত্বেও মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন, হাসপাতাল চত্বরে ব্যক্তি মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স রাখার বিষয়টি ও এ্যাম্বুলেন্স প্রতি টাকা নেয়ার কথা জানতে চাইলে মোবাইল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিষয়গুলো সম্পর্কে সিভিল সার্জন বাগেরহাট ডাক্তার হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সরকারী হাসপাতাল কম্পাউন্ডের অভ্যন্তরে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহন ব্যতীত ব্যক্তি মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স কিংবা যানবাহন রাখার কোন বিধান নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন