নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ৭৮তম জন্মদিন আজ শুক্রবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয়ভাজন কামালপুর গ্রামের সদালাপী ও মিষ্টভাষী সেই ছাত্রলীগ নেতা এখন ৭৮ বছরের প্রবীণ এবং দেশের রাষ্ট্রপতি।
প্রতিবছর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানাতেন, তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে না।
জন্মদিনে নিজের পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে নাতি-নাতনিদের সঙ্গেই সময় কাটাবেন রাষ্ট্রপতি।
১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫৯ সালে, ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। এরপর স্বাধীন দেশে আরও ছয়বার তিনি সংসদে নিজের এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন দুই দফা। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বঙ্গভবনের বাসিন্দা হন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৩ সালে আবদুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ধরাবাঁধা নিয়মের ছকে থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্বভাবসুলভ হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন মানুষের খুব কাছে।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ বিভিন্ন সময়ে ঠাট্টাচ্ছলে বঙ্গভবনকে তুলনা করেছেন জেলখানার সঙ্গে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, খাঁচার পাখিরে যত ভালো খাবারই দেয়া হোক না কেন, সে তো আর বনের পাখি না। আমি একটা দায়িত্ব হিসেবে এখানে এসেছি। সংসদে মনের খোরাক পেতাম, বঙ্গভবনে পাই না। ইচ্ছা করলেই অনেক কিছুই করতে পারি না।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনের পরিবেশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে জেলে ছিলাম। এখনও জেলে আছি। পার্থক্য আগে স্যালুট দিত না, এখন দেয়।