নিজস্ব প্রতিবেদক : বেশ কিছুদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু বাজারে সেই নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল।
বর্তমানে খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায় যেখানে সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ১১৫ টাকা এবং প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায় আর সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৩৫ টাকা। অর্থাৎ সরকার বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বাজার ঘুরে এমনটি দেখা যায়।
এদিকে, সয়াবিন তেলের বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, ‘গত দুইদিন আগেই সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা জানি, তবে খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে এখন আমাদের সে ধরনের নির্দেশনা আসেনি। তাই আমরা আগের দামেই বিক্রি করছি। সরকার নির্ধারিত সয়াবিন তেলের দাম বাজারে পেতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগবে।’
রাজধানীর বাজারগুলোতে আগের তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে সবজির। ফলে দামও নি¤œমুখী শীতকালীন সব সবজির।
বর্তমান বাজারে সবজির মধ্যে প্রতি কেজি শিম ২৫-৩০ টাকা, ফুলকপি ১৫-২৫ টাকা পিস, মুলা ১০-১৫ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা পিস, বেগুল ২৫-৩৫ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা পিস, পেঁয়াজ পাতা ১০ টাকা আঁটি, করোল্লা ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ও টমেটো ২০-২৫ টাকা, শসা ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, মান ভেদে রসুন ৭০-১০০ টাকা এবং নতুন আলু ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৫৮০ টাকা ও খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বাজারে দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগি ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকায়, কক মুরগি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে মাছের বাজার। সব ধরনের মাছের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে।
এদিকে, চালের বাজারে দেখা যায়, বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। অপরদিকে মাঝারি মানের চাল ৫২-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে।