নিজস্ব প্রতিনিধি : পারিবারিক কলহের জের ধরিয়া মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই ইউনিয়নের অন্তগত শ্রীরামপুর দক্ষিনপাড়া সাকিনের মোঃ নূর মিয়ার ছেলে মোঃ শাহিদ আহমদ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন আলীনগর সাকিনের মোঃ শামছুল হকের মেয়ে লাকি আক্তার(২৬) কে বিবাহের পর হইতে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য চলিতেছিল। প্রায় সময়ই লাকি আক্তারের স্বামী মো: শাহিদ আহমদ তাহাকে শারীরিক মানষিক ভাবে নির্যাতন করিত। গত ০৩/০৩/২১খ্রিঃ রাত্রিবেলা লাকি আক্তারের স্বামীর সাথে তাহার ঝগড়া হয়। ঐ সময় তাহাকে তাহার স্বামী মো: শাহিদ আহমদ শারীরিক নির্যাতন করে। পরদিন ০৪/০৩/২১খ্রিঃ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকায় মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর দক্ষিনপাড়া সাকিনস্থ লাকি আক্তারের স্বামীর বসত ঘরের শয়ন কক্ষে স্বামী মোঃ শাহিদ আহমদ তাহার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করিয়া স্ত্রী লাকি আক্তারের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে এবং এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার মুখে বালিশ চাপা দিয়া বসিয়া থাকে। লাকি আক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাহার পাষন্ড স্বামী মোঃ শাহিদ আহমদ স্ত্রী লাকি আক্তারের মৃতদেহ পলিথিন দিয়া মোড়াইয়া বসত ঘরের ড্রামে ঢুকাইয়া রাখে এবং ০২ঘন্টা পরে লাশ ড্রাম হইতে বাহির করিয়া আবার শয়ন কক্ষে খাটে রাখে। সংবাদ পাইয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব পলাশ রঞ্জন দে এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুদ্দোহা পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ফরিদ উদ্দিন খাঁন, এসআই শিপু কুমার দাস, এসআই মোঃ রেজাউল করিম, সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে যান। এসআই শিপু কুমার দাস মৃতার লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করিয়া মৃত্যুর সঠিক কারন নির্নয়ের লক্ষ্যে লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ঘটনার মূল রহস্য উৎঘাটন পূর্বক উক্ত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করিয়া স্ত্রী লাকি আক্তারকে হত্যাকারী পাষন্ড স্বামী মো: শাহিদ আহমদকে গ্রেফতার করেন। ঘটনার সংবাদ লাকি আক্তারের পরিবারবর্গ পাইয়া চুনারুঘাট এলাকা হইতে মোগলাবাজার থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করেন। এতদ সংক্রান্তে মোগলাবাজার থানার মামলা নং ০৪, তাং- ০৫/০৩/২১খ্রি: ধারা: ৩০২ পেনাল কোড রুজু পুর্বক এসআই শিপু কুমার দাসকে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মো: শাহিদ আহমদকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।