খড়পুড়িয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা!

অপরাধ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : নড়াইলে খড় পোড়ানোর অভিযোগে মিথ্যা মামলা,হয়রানীর শিকার প্রতিবেশীরা অভিযোগ মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামির পরিবারের।
মামলার বিবারনে জানা যায়,অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো: মিজানুর রহমান বাদি হয়ে, আসামি ১,মো:রাতুল সর্দার (২১),পিতা-মো:মনিরুল সর্দার ২,রোমান খাঁ (২১),পিতা-নেদা খাঁ ৩,তাজমুল সর্দার (২১),পিতা-ইস্রাফিল সর্দার ৪,আল মামুন শেখ (১৯),পিতা-কালা শেখ ৫,আসিব শেখ (২০),পিতা-মফিজ শেখ সর্ব সাং- মির্জাপুর (দক্ষিনপাড়া,থানা জেলা নড়াইলদের সাথে আমার জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
মির্জাপুর দক্ষিণপাড়াস্থ আমার পুরাতন বাড়ী হতে সরে এসে ২০২০ সালে মির্জাপুর দক্ষিনপাড়াস্থ উপরোক্ত আসামীদের বাড়ীর পার্শ্বে নতুন বসত বাড়ী তৈরী করে বসবাস করতে থাকি।
আমার সাথে তাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলায় আসামিগণ আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি সাধনের জন্য আপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এরই প্রেক্ষিতে তারা একাধীকবার আমার জমিতে থাকা গাছ গাছালি কাটা সহ ঘর বাড়ী ভাংচুর করে আমার ক্ষতি সাধন সহ বাড়ী থেকে বিভিন্ন জিনিষপত্র চুরি করে নিয়েছে।
সে সকল ঘটনা নিয়ে একাধীকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসা হয়েছে,যার সত্যতা পাওয়া যাবে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিকট জিজ্ঞাসাবাদে।
এমতাবস্থায় গত (১মার্চ) রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় আমি সহ আমার পরিবারের সদস্য”রা রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমুয়ে পড়ি।
রাত আনুমানিক ১-৩০ ঘটিকার সময় আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার বসত বাড়ীর উত্তর পাশের সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বেড়া দেয়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়,আমি লোকজনের ফিস ফিস কথা বার্তা সুনে এবং আগুনের লেলিহানের শিখা দেখে ঘর থেকে বের হয়ে টর্চের আলোতে দেখি উপরোক্ত আসামীগণ আমার বাড়ীর উঠানে দাড়িয়ে আছে এবং ১নং আসামি অন্যান্ন আসামীদের হুকুম দিয়ে বলে সালাদের ঘর বাড়ী পুড়িয়ে এখান থেকে উচ্ছেদ করে দে।
হুকুম পাওয়া মাত্রই আসামীগণ আমার বসত বাড়ীর উত্তর পাসের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের মধ্যে রাখা গরুর খাবারের খড় সরিষা সহ অন্যান্ন ফসলাদিতে আগুন রাগিয়ে দেয়।
উক্ত আগুনে দেখতে দেখতে চারি দিকে ছড়িয়ে পড়ে সকল গোখাদ্য খড় ও অন্যান্ন ফসলাদি পুড়ে ছায় হয়ে যায় এছাড়া আমার নির্মানাধীন বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
যার কারনে আমার সর্বমোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
আমার ডাক চিৎকারে ১,স্বাক্ষী ইকবাল (৫৫),পিতা-মৃত কুটি মিয়া শেখ ২,আজানুর শেখ (৫৫) পিতা-আজিবর শেখ ৩,ইকবাল মোল্যা (৬০) পিতা-মৃত সর্দার মোল্যা ৪,কামরুল মোল্যা (৫০) পিতা-মৃত ঈমান উদ্দিন মোল্যা সর্ব সাং মির্জাপুর দক্ষিনপাড়া থানা জেলা নড়াইলগণ সহ আমার বাড়ীর লোকজন ও আশপাশের প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে আমার বাড়ীর মটোরের পানি দিয়ে আগুন নিভায়।
এই খবর পেয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে স্থনিয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল মির্জাপুর দক্ষিণ পাড়া গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ মামলার স্বাক্ষীদের কাছে জানতে চাইলে স্বাক্ষীগণ জানান, কে বা কারা আগুন জালিয়েছে তারা জানেন না তারা ঘটনার পরের দিন সকালে এসে মিজানুর বলার পরে যেয়ে দেখি গরুর খাবার খড় পুড়া রয়েছে এটা ছাড়া কে বা কারা আগুল লাগিয়েছে দেখিওনি জানিওনা,আপনারা এঘটনার জন্য মামলা হয়েছে আপনারা স্বাক্ষী আপনারা বলছেন এ বিষয়ে কিছুই জানেননা ,জবাবে তারা বাদী মিজানুর রহমানের সামনেই বলেন আমি বা আমরা জানিনা যে আমরা এ মামলার স্বাক্ষী, বলেও তারা বাদি মিজানুর রহমান এর সামনেই জানান।
মির্জাপুর দক্ষিনপাড়ার স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি জানান,মিজানুর রহমান এখানে বাড়ী করার আগে আড়পাড়া ও হাইড়ের ঘোপ নামক স্থানে বসবাস করতেন সেখানেও নানাবিধ কুকর্মের জন্য টিকতে না পেরে মির্জাপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় বাড়ি করে প্রতিবেশীদের হয়রানি শুরু করেছে। স্থনিয়দের দাবি ইতোপূর্বে দুই তিন যায়গায় বাড়ী করে ঝামেলা বাধীয়ে জরিমানা দিয়ে এখানে এসেছে।
মো:রাতুল সর্দারের সাথে মিজানুরের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তার সুবাদে মিজানুর এর বাড়িতে অনেক রাত পর্যন্ত রাতুল সর্দার আসা যাওয়া করতো এটা নিয়েও কয়েক বার মিজানুর রহমান এদের সাথে পুলিশ সহ চেয়াম্যান মেম্বারদের দিয়ে হয়রানী করেছে।
আরো জানা যায়,একজন নিরীহ লোক কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় গ্রাম ছাড়া করার অপচেষ্টাও করেছে বলেও জানা গেছে, মিজানুর টাকার বিনিময়ে রাতকে দিন আর দিনকে রাত বানিয়েছেন কিছু কুচক্রী মহল দিয়ে, নিজের জমির কাগজ পত্র থাকা সত্ত্বেও জমি পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী নিরিহ একটি পরিবার।
এদিকে ভুক্তোভোগী মিথ্যা মামলায় হয়রানী হওয়া পরিবারের সদস্যগণ জানান,মিজানুর রহমান বাড়ী করার পর থেকে উক্ত এলাকায় অশান্তি শুরু হয়েছে এর আগে কোনদিন কোন অশান্তি বা ঝামেলা হয়নি।
মিজানুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সারজেন্ট এবং তার আত্তীয়স্বজন”রা পুলিশে চাকরী করে বলে আমাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে,এবার নিজের ঘরে থাকা খড়ে নিজে আগুন ধরিয়ে আমাদের ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা করলো।
যদি আমাদের ছেলে আগুন ধরিয়ে থাকে প্রমান হয় তাহলে আমাদের ছেলেদেরও বিচার চাই কিন্তু কেউ আগুন ধরানো দেখেনি সুধু মিজানুর রহমান দেখেছে এটা একটা সাজানো নাটক বলেও জানান।
সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা গেলো ও ঘরে অল্প কিছু খড় বাদে অন্য কিছু পোড়ার প্রমান নেই,আপনার ঘরে আর কিছুই তো পোড়েনি বা আপনার আশপাশের লোকজন কেন দেখলো না বা ঘটনা স্থলে আসেনি জবাবে মিজানুর রহমান বলেন,পাসের লোক জনই তো পুড়িয়েছে তাহলে আসবে কি বলে কৌসলে বিষয় টা এড়িয়ে যান।
মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী দারগা জাকির জানান,মিজানুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সরজমীনে গিয়ে দেখা যায় মিজানুর রহমানের নির্মানাধীন বিল্ডিং এর মধ্যে খড় রাখা ছিল এবং বস্তাদারা ব্যেড়া দেয়া বস্তায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে আসামিগণ এজন্য দুজন আসামিকে আটক করে নড়াইল সদর থানায় পেরন করি বলেও জানান। স্থানীয় সচেতন মহল এর মতে আগুন লাগানোর মতো এতো বড়ো একটা ঘটনা ঘটলে পুরো গ্রামেই খবর হয়ে যাওয়ার কথা অথচ পুলিশ ধরপাকড় করার পরে তারা আগুন লাগার কথা লোক মুখে জেনেছেন।


বিজ্ঞাপন