নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরে জাতীয় ঈদগাহের জামাতে মুসল্লিরা শুধু জায়নামাজ, প্রয়োজনে ছাতা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তাদের অন্য কিছু বহন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
সোমবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঈদ জামাতে মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং বৃষ্টি থাকলে ছাতা নিয়ে কেবল প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া, আর কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। জায়নামাজ ও ছাতা পুলিশ দেখতে চাইলে দেখাতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রধান প্রধান ঈদগাহের চার পাশে চেকপোস্ট থাকবে। প্রথমে চেকপোস্টে পুলিশ সবাইকে ফিজিক্যালি তল্লাশি করবে। দ্বিতীয় দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি হবে, তৃতীয় দফায় মুসল্লিদের ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এই তিন দফা তল্লাশির মাধ্যমে মুসল্লিদের ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররম প্রস্তুত। ঈদ জামাতের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ স্ক্যানিং করা হয়েছে। আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঈদগাহে থাকা ডিএমপির কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হবে।’
রাজধানীতে চিরুনী অভিযান চলছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে আমাদের ব্লক রেইড চলছে। যা চলবে। বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনে আমাদের পুলিশ কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার প্রতিটি ঈদ জামাতে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে। যেখানে আমরা আর্চওয়ে দিতে পারবো না, সেখানে পুলিশ ফিজিক্যালি তল্লাশি করবে।’
ঈদগাহে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে, অথবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ঈদ ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার তথ্য নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
রামপুরা ও পল্টনে পুলিশের ওপর হামলাকারীরা শনাক্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘এখনও বলার মতো অগ্রগতি হয়নি। তবে পুলিশের ওপর ককটেল মেরে শত শত পুলিশ সদস্যের মনোবল দুর্বল করা যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।