রোহিঙ্গা সংকট ও মায়ানমার সীমান্ত

আন্তর্জাতিক জাতীয় জীবন-যাপন

বিশেষ প্রতিনিধি : সারা বিশ্বে অর্থনীতির দিক দিয়ে বাংলাদেশ এর নাম আবির্ভাব ঘটলেও আমি মনে করি আমাদের দেশের উন্নয়নে বাধা হিসাবে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গা সংকট, বর্তমান করোনাভাইরাস, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম দূর্নীতি।
রোহিঙ্গা সংকট এর মধ্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই অবগত যে ২০১৭ সালে মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচারে মুসলিম রোহিঙ্গারা নাফনদী পাড় হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা চার বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে হয়ত বর্তমান সরকার মানবিকতার পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সরকার আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে সুনাম ছড়ালেও বর্তমানে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে।
সর্বপ্রথম রোহিঙ্গাদের কেন মিয়ানমার সেনাবাহিনী অগ্রাসন করল সেদিকে একটু যাওয়া যাক, ১৯৮২ সালে বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন আইন অনুসারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর একটি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা দেয়া হয় নি। ইতিহাসের অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া যায় তবুও মায়ানমার সরকার তাদের পরবর্তীতে নাগরিকত্ব দেয় নি।রোহিঙ্গাদের প্রতি এমন সহিংসতার পরিচয় দেয়ার কারন রোহিঙ্গাদের ভাষা, জীবনাযাপন বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিতে পড়ে মায়ানমার সরকার মনে করেন তারা বাঙ্গালি।


বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন কিভাবে হবে কারন এতে বিভিন্ন কূটনৈতিক প্রচেস্টা থাকলেও প্রধান বাধা হিসাবে দাড়াচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ চীন ও ভারত। এশিয়ার প্রধান দুই পরামানবিক শক্তিশালী দেশ চীন ও ভারত যাদি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে তাহলেই তো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা কিছুই না। এখন আসি ভারত কেনো এই ব্যাপারে পিছপা হাটছে, মায়ানমারে রাখাইন রাজ্যের উত্তর দিকে ভারত একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। অন্যদিকে আবার চীন দক্ষিণ রাখাইনে তাদের বন্দর নির্মাণসহ প্রকৃতিক সম্পদ আহরণের প্রচেষ্টা করছে। এই রুপ ভূরাজনৈতিক বিষয় থাকলে এই দুই দেশ কিভাবে মায়ানমারকে চাপ সৃস্টি করে। এদিকে রোহিঙ্গাদের পার করে দিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সিমান্তে ভারী অস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন করে দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

আমার মনে হয় যেহেতু রোহিঙ্গাদের ভাষা সংস্কৃতির দিকে মিল দেখে যদি তারা বাংলাদেশে পাঠায় কিন্তু সেন্টমার্টিন দখলের ইঙ্গিত কারন তারা মাঝে মাঝে সেন্টমার্টিনকে মায়ানমার মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত দাবি করে। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন আদায়ে ও সামরিক ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সতর্কতা অবস্থানে রেখেছে। তবে এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন না করা হলে , দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, মাদক চোরাচালান, ও অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘঠিত হয়েই যাচ্ছে যা দেশের জন্য বিরাট ক্ষতিকর ও পরবর্তীতে এই অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে যাবে। আর এই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বিষয়ে সরকারের কূটনীতিক প্রচেষ্টা আরো জোরদার করতে হবে ও আর্ন্তজাতিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।