নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলমান ‘লকডাউন’ ঢিলেঢালাভাবে চলছে। সেই সাথে বেড়েছে ভোগান্তিও। নিতান্ত প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিত্তবানরা নিজস্ব বাহনে নির্বিঘেœ চলাচল করলেও বিপাকে সাধারণ মানুষ।
১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউনের কঠোরতা শুরু হলেও ক্রমান্বয়ে তা শিথিল হয়ে এখন যানযট পরিস্থিতি রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও দেদার চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, অটোরিকশা ও রিকশা। পুলিশের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে বিধিনিষেধের বেড়াজালে বন্দি সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী নিয়ে ঢাকায় এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। আবার অনেক অসুস্থ রোগিরাও ঝুঁকি নিয়ে ছুঁটছেন করোনা সনদের জন্য।
অন্যদিকে গণপরিবহন না থাকায় বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে অনেককেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. রুবেল বলেন, আমার বাসা মিরপুর, যাবো গুলিস্তানে। বাড়তি টাকা দিয়ে অনেক কষ্টে যাত্রাবাড়ী এসেছি। এখন এখান থেকে কোনো যানবাহন পাচ্ছি না। আর রিকশার ভাড়া অনেক বেশি হওয়ায় এখনও দাঁড়িয়ে আছি।
কঠোর বিধিনিষেধ আর চরম ভোগান্তির মাঝে করোনা সংক্রমন আর মৃত্যু হার কতটা নিয়ন্ত্রণে এলো-তার ওপর নির্ভর করছে লকডাউনের সার্থকতা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করায় সরকার প্রথমে চলতি মাসের ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও ২ দিন বাড়ানো হয়। এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন দেয় সরকার। সেই লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে সরকার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এটি তৃতীয় ধাপের লকডাউন।