নিজস্ব প্রতিনিধি : বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে দেশের ওষুধ খাতের জায়ান্ট স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত এ পুরস্কারের বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পুরস্কারের জন্য সাতটি ক্যাটাগরিতে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
১৯৮২ সালে দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ জাতীয় ঔষধ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ওই নীতিমালাই শিল্প খাতটিতে ব্যক্তি উদ্যোগের বিকাশের সুযোগ তৈরি করে দেয়। আর এ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সফল ভূমিকা ছিল স্থানীয় উদ্যোক্তাদের। এক্ষেত্রে যারা অগ্রণী ভূমিকা রাখেন, তাদের মধ্যে ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। ১৯৫৮ সালে তার হাত ধরেই যাত্রা করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠা করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। সে সময়ের এ ছোটখাটো উদ্যোগ আজ বিরাট প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের। বাংলাদেশের বাইরে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়ও ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে স্কয়ার। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বার্ষিক টার্নওভার ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, এ স্বীকৃতি অবশ্যই অনুপ্রেরণাদায়ক। আর বর্তমানের মতো একটি বিশেষ সময়ে এ স্বীকৃতি আরো অনেক অগ্রসর হওয়ার স্পৃহা জোগাবে। তবে এ সাফল্যের কৃতিত্ব ও ভাগীদার স্কয়ারের সব কর্মী ও শেয়ারহোল্ডারের। আমাদের সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি আজকের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
গত ২৭ জুন জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২০-এর বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি পাচ্ছে আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান। স্কয়ারের পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বস্ত্র খাতের জজ ভূঞা টেক্সটাইল মিলস। তৃতীয় অবস্থানে যৌথভাবে আছে তৈরি বস্ত্র ও পোশাক খাতের থার্মেক্স গ্রুপের সহযোগী আদুরী অ্যাপারেলস লিমিটেড। অন্য প্রতিষ্ঠানটি হলো প্যাসিফিক জিনসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল লিমিটেড।