নিজস্ব প্রতিনিধি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশকে রক্ষা করে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান ঘোষণা করেছেন। নৌপথগুলো খননের মাধ্যমে নদীগুলোকে রক্ষা করা হবে। দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট অনুসরণ করে সফলকাম হব। নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত বাংলাদেশকে রক্ষা করতে কাজ করছি। এখানে সীমাবদ্ধতা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। সমস্ত চ্যালেঞ্জ ওভারকাম করে এগিয়ে যাব।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সাস্টেইনএবল রিভার ড্রেজিং ঃ চ্যালেঞ্জেস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক ওয়েবিনারে (জুম সভা) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রহমানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক, ডিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এন কে এ মোবিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল আক্তার, খায়রুল মজিদ মনিরুল। প্রখ্যাত পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সেধরনের কার্যক্রম চোখে পরেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে দু’টি, এরপর ১০টি এবং ২০ টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। আরো ৩৫ টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ১০,০০০ কিলোমটিার নৌপথ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে; ইতোমধ্যে ২,৫০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি গোষ্ঠি ভারতবিরোধি সেন্টিমেন্ট তৈরি করে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, গত ১২ বছরে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি বেড়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও স্থলবন্দরগুলোর সক্ষমতা বেড়েছে। পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হয়েছে।