বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে নড়াইলের রুখালীতে শোক ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

সারাদেশ

সৈয়দ রমজান,মির্জাপুর, নড়াইল : বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলের সদর থানাধীন রুখালী বাজারে শোক ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার ১৭ আগষ্ট বিকাল ৫ টায় রুখালী বাজার প্রাইমারী স্কুল মাঠে এক আলোচনা সভা, স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল এবং গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

যুবলীগ নেতা চন্দন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন ১২ বিছালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত সু-যোগ্য চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ১২নং বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকতার হোসেন কিংকু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান, মো: বাবর আলী, সাইফার রহমান, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান গাজী, বিছালী ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাস প্রমূখ।

আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আমিরুল ইসলাম, বিছালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী ইমরান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এসএম মহিউদ্দীন পারভেজ, কাজী সোহেল রানাসহ বিছালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ সহ দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টের ভয়াল নির্মম হত্যাযজ্ঞ নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয় এবং যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানানো হয়।

আলোচনা-স্মরণ সভা শেষে এক দোয়া, মোনাজাত অনুষ্ঠিত ও এরপর গণ ভোজ খিচুড়ী বিতরণ করা হয়। এসময় ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

দলে দলে অংশগ্রহন করে এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান প্রধান অতিথি এস এম আনিসুল ইসলাম, তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর কিন্তু বিপথগামি সদস্য এবং ষড়যন্ত্রের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হত্যকারীদের জাতি কোনো দিনও ক্ষমা করবে না। তিনি সরকারের প্রতি বঙ্গবন্ধুর বাকি হত্যাকারীদের দেসের মাটিতে এনে তাদের বিচারের জোর দাবি জানান।