নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে যদি শান্তি বিনষ্ট বা জঙ্গিবাদের উত্থান হয়, পুরো অঞ্চলের ওপর তার প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। আমরা সবসময় শান্তি প্রত্যাশা করি।’
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তালেবান উত্থানে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না এবং ইতোমধ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তালেবানদের সে দেশে মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যা দেয়ার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি, তালেবান কাবুল দখলের পর ক্ষমতার পটপরিবর্তনে দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সেই অতি উৎসাহ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের মধ্যেও দেখছি।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী শেল রোজ অ্যান্ড ডেল ভবনে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) আয়োজিত ‘ভয়াল ১৫ আগস্ট: শোক থেকে শক্তি’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
সভায় ড. হাছান মাহমুদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেভাবে মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন, তা শুধু এ দেশে নয় বিশ্বেও বিরল। জাতির পিতার এক ডাকে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় যে নিজের প্রাণ, তা হাতের মুঠোয় নিয়ে একাত্তরের জনযুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
বিসিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার।