পরীমনির জন্য ব্যারিস্টার পাঠাবেন গাফফার চৌধুরী!

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : চিত্রনায়িকা পরীমনি ইস্যুতে শুরু থেকেই সোচ্চার লন্ডন প্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক ও মহান একুশের গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী। পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে একাধিকবার লিখেছেন।


বিজ্ঞাপন

এমনকি পরীমনির ন্যায়বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। এবার পরীমনির মুক্তির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার পাঠাতে চান প্রবীণ এই সাংবাদিক।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী নিজেই এমন ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন লন্ডনের আইপি টিভি দর্পনকে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পরীমনির সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। সামনাসামনি কখনো দেখিনি।

কিন্তু অনলাইনে দেখলাম, মেয়েটা চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলছে। তার কোনো অপরাধও আমি খুঁজে পাইনি। একজন নায়িকার বাড়িতে মদ থাকবে না, এটা কেন সবাই আশা করছে?

প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, ধীরে ধীরে অনেকেই পরীমনির পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। আমি এখানে কয়েকজন ব্যারিস্টারের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ কেউ অপারগতা প্রকাশ করেছেন আবার কয়েকজন এ নিয়ে কাজ করতে রাজিও হয়েছেন।

তাদেরকে আমি পরীমনির মামলা পর্যবেক্ষণ করতে বলেছি। প্রয়োজনে তাদের মধ্যে একজনকে বাংলাদেশে পাঠাতে চাই।
পরীমনি আক্রোশের শিকার, মন্তব্য করে আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, মেয়েটির পেছনে দুই শক্তি একযোগে কাজ করছে- একটি হলো অর্থশক্তি অন্যটি রাষ্ট্রশক্তি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অনেক কিছুই সাজানো।

তাই তার পক্ষে আমাদের সকলের দাঁড়ানো উচিত। যার যার জায়গা থেকে সাধ্য অনুযায়ী মেয়েটাকে সাহায্য করতে হবে।

বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিকে প্রথম দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় নেওয়া হয়েছে ২ দিনের রিমান্ডে।
সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, আপাতত পরীমনিকে আর রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে না, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনি এবং তার সহযোগীকে আটক করে র‌্যাবের একটি দল।

অভিযানে পরীমনির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।