সরিষাবাড়ীতে বেহাল দশা সড়কের!

সারাদেশ

দেখার কেউ নেই!

 

মোস্তাফিজুর রহমান, সরিষাবাড়ী : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৭নং কামরাবাদ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পপুলার ব্রীজের পশ্চিমে সোহেল নেতার বাড়ী থেকে ধারাবর্ষা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে মোবারক আলীর বাড়ী পর্যন্ত প্রায় তিন কিঃ মিঃ কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি জরুরীভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , উপজেলার ৭ নং কামরাবাদ ইউপির’র ৮ নং ওয়ার্ডের পপুলার ব্রিজের পশ্চিম পার হতে সোহেল নেতার বাড়ী থেকে ধারাবর্ষা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে মোবারক আলীর বাড়ী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ২০ বছর আগে নির্মিত হয়। এই রাস্তাটি উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য উক্ত গ্রামের মানুষের একমাত্র রাস্তা। জনগণের চলাচলের জন্য কাঁচা রাস্তাটি তৈরী করা হলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত আর কোন সংস্কার করা হয়নি। এ গ্রামের শিক্ষার্থী সোহেল জানান, কাঁচা রাস্তাটি ব্যবহার করেই পড়াশোনা করতে হয় অত্র এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের। কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একটিমাত্র রাস্তা এটি। বর্ষার দিনে এই রাস্তাদিয়ে একেবারেই চলাচল করা যায় না।রাস্তার মাঝে মাঝে গর্ত আর গর্ত ও খানাখন্দ। এমনকি বৃষ্টির পানিতে মাটি ধুয়ে গিয়ে কোথায় কোথায় ৪/৫ ফুট নিচু হয়ে গেছে। রাস্তায় হাটতে গেলে অনেক সময় মাটি পিছলে বয়স্ক মানুষ সহ অনেকেই পড়ে গুরুতর আহত হয়। মোটর সাইকেল, ভ্যান গাড়ি ও ইজি বাইক কাদার মধ্যে দেবে গিয়ে উল্টে যায়। এসব দেখার যেন কেউ নেই। এ কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করা হলে বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াত এর ভোগান্তি কমবে। অন্যদিকে মুমূর্ষু রোগী ও জরুরি অবস্থায় প্রসূতি মা বোনদের উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাইতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শ্রমজীবী মানুষদের অটো রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এলাকাটি শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকায় পাইকার বা মহাজন’ আসতে চায়না। যার ফলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতে হয়। এতে কৃষকগণ প্রতিনিয়ত লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। রাস্তাটি সংস্কার করা হলে এলাকার কৃষকগণ একদিকে যেমন উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে অপরদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক হবে।
এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ওই গ্রামের জনগণ সহযোগিতা করলে ও মাটির যোগান দিলে রাস্তাটি দ্রুত করা হবে।


বিজ্ঞাপন