নিজাম উদ্দিন : মোহাম্মাদপুর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য কনস্টেবল তাজুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্বে বরগুনা কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে, মামলার বাদী সুমি আক্তারের মা হেলেনা বেগম।
স্ত্রী নির্যাতনের মামলার বিষয় জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন আমার বিরুদ্ধে যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, তার স্ত্রী সুমি আক্তার পরকীয়ার আসক্ত। পরকীয়ার টানে চলতি বৎসরের গত মাসে না বলেই বাসা থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ স্ত্রীকে খুঁজে না পাওয়ায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করেন। যার নং ১৪৬৪।
পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে মোহাম্মদপুর বসিলা ভাড়া বাসায় থাকতেন।
তাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলাম তার স্ত্রী সুমির বিষয় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তার সাথে পরকীয়ায় আসক্ত।
একাধিকবার বুঝিয়েও স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে পারেননি স্বামী তাজুল ইসলাম, কিন্তু পরকীয়ার বিষয়টি স্ত্রী সুমির পরিবার ভিন্ন খাতে নিতে আমার মা-বাবা এবং আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন বরগুনা কোর্টে। তাজুল ইসলাম আরো বলেন আমার স্ত্রী সুমি আক্তার পরকীয়ার টানে গত মার্চ মাসেও তার গর্ভের প্রথম সন্তান নস্ট করেছেন। স্ত্রী সুমি আক্তারকে অনেকবার বুঝালেও কোন কর্নপাত করেনি আমার কথায়। তিনি প্রতিনিয়ত পরকীয়ার ছেলের সাথে কথা বলেই যেতো। এই আলাপের একাধিক সত্যতার প্রমান আছে বলে জানান পুলিশ সদস্য।
মোহাম্মাদপুর বসিলা বাসা থেকে নিখোঁজ হলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে জানতে পারেন (সুমি আক্তার) তার নিজ বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে, তখন পুলিশ সদস্যও স্ত্রী সুমির বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করেন ঢাকায় আসার জন্য কিন্তু তাদের কথা তিনি গ্রামেই থাকবেন ঢাকায় যাবেন না। এরমধ্যে ছুটির সময় শেষ হয়ে আসলে পুলিশ সদস্য একাই ঢাকায় চলে আসে এবং তার কর্মস্থলে যোগ দেন। কিন্তু ঢাকায় আসার পরে তিনি জানতে পারেন তার মা-বাবা এবং তার বিরুদ্ধে বরগুনা কোর্টে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এবং যৌতুকের দায়ে মামলা করেছেন স্ত্রী সুমি আক্তারের মা হেলেনা বেগম। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, শুধু স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় এই মামলা এমনটাই দাবি পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলামের। এই মামলায় শতভাগ নির্দোষ প্রমানিত হবেন বলেও তিনি জানান।
পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলাম আরো বলেন, আমার স্ত্রী সুমি আক্তারের মা হেলেনা বেগম তার দ্বিতীয় মেয়ে তানিয়া আক্তারকে এক সেনা বাহিনীর কর্মকর্তার সাথে বিবাহ দিয়ে তার নিকট হতে টাকা পয়সা নিয়ে সেই কর্মকর্তাকে চাকরীচ্যুত করে এবং মেয়েকেও ডিভোর্স করান। পুলিশ সদস্য বলেন স্ত্রী সুমি আক্তারের মা হেলেনা বেগম ঠিক একই কায়দায় আমাকেও চাকরীচ্যুত করার জন্য পায়তারা করছেন।
সুমি আক্তারের পরকীয়ার একাধিক প্রমান আছে বলেও জানান পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলাম।