কালকিনিতে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাশীন দলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে ওই দুই প্রার্থীর একজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অপর প্রার্থী ভয়ে অভিযোগ দায়ের করতে অসম্মতি জানান।
এমন ঘটনার পরে প্রার্থী হতে সংকোচ প্রকাশ করেন তিনি। শুরুতেই ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়কে ইঙ্গিত করে বলেন,সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন ভরসাই করতে পারছি না। তাই মনোনয়নপত্র জমার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরদৌলত খান ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়া ও সাহেবরামপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহিম মুরাদ শরিবার দুপুরে কালকিনি উপজেলার নির্বাচন অফিসে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাদের মনোনয়নপত্র ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে চরদৌলত খান ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মিয়া জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মিয়ার প্রতিনিধি বাবুল পেদার মাধ্যমে শনিবার সকালে মনোনয়নপত্র জমা দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সামনে গেলে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদেয়া ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক লোকজন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়। বাধা না মেনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র ও নগদ অর্থ জোড় করে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মিয়া বলেন, আমার প্রতিনিধি মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে তার কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র ও নগদ অর্থ ছিনতাই করেছে বলে আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। আমি চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কালকিনিতে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হবে কারন যাদের নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তারা বেশিরভাগ জন বিচ্ছিন্ন।
সাহেবরামপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহিম মুরাদ বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে কাগজপত্র ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আওফহেভম দিয়ে কি হবে। তারা জনপ্রিয় না বলেই প্রার্থী হতে দিতে চায় না। ভয়ে আছি মনোয়নপত্র জমা দিলে আরও কত কি করে বসে। তাই বিভিন্নভাবে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। প্রার্থী হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না সেটাই বড় বিষয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল হাই বলেন, মনোনয়ন ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সত্য নয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীপক বিশ^াস বলেন, মনোনয়ন পত্র ছিনতাইয়ে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইসতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পুলিশি নিরাপত্তা চাইলে দিতাম। তার পরেও সেখানে পুলিশ গিয়েছিল পরিবেশ শান্ত করার জন্য।


বিজ্ঞাপন