চিত্রনায়িকা পরীমণি’র এবারের জন্মদিনের অথিতি হবেন কারা?

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই ফিল্মের আলোচিত ও সমালোচিত চিত্র নায়িকা সময়ের ক্রেজ প্রতিবাদী অভিনেত্রী পরীমণি’র আগামী ২৪ অক্টোবর তার জন্মদিনে অথিতি হবেন কারা? সংগত কারণেই এ প্রশ্নটা উঠেছে। প্রতিবছর বেশ জমকালো আয়োজনে দিনটি উদযাপন করেন তিনি তবে তার এফবি স্টাটাসের ইংগিতে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পরী যে থিমে তার জন্মদিনের আয়োজন সাজান, সেই রঙের সঙ্গে মিল রেখে আমন্ত্রিত অতিথিদের ড্রেসকোড নির্ধারণ করেন।


বিজ্ঞাপন

এবার ফেসবুকে জন্মদিন নিয়ে আগাম বার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন একটি গল্প বলে।

গল্পটিতে লিখেছেন- ‘এক লোক একটা আস্ত বড় গরু গ্রিল করে তার মেয়েকে বললেন, আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভোজের জন্য ডাকো। মেয়েটি রাস্তায় গিয়ে চিৎকার করতে থাকল, আমাদের বাসায় আগুন লেগেছে কে কোথায় আছো আমাদের সাহায্য করো।

অল্প কিছুসংখ্যক মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন। বাকিরা এমন ভাব করলেন, যেন তারা কিছু শুনতেই পাননি! যারা সাহায্যের জন্য এলেন, তারা পেটপুরে মজাদার সেই খাবার খেলেন।
বাবা আশ্চর্য হয়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন- মা, যারা এসেছেন তাদের কাউকেই আমি চিনি না!

আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা সব কোথায়? মেয়েটি উত্তরে বলল- যারা এসেছেন তারাই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী! তারা কিন্তু খাবার খেতে আসেননি। তারা এসেছেন আমাদের বাড়ির আগুন নেভাতে। এরাই আমাদের আপনজন।’

গল্প শেষে পরীমণি লেখেন, ‘যারা বিপদের সময় তোমার পাশে থাকেনি, তারা তোমার আনন্দের অংশীদার হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না।’

স্ট্যাটাসটির একদম শেষের হ্যাশট্যাগের লেখা থেকে গল্পটি লেখার কারণ স্পষ্ট হয়েছে। পরী হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ’২৪ অক্টোবর ফ্যাক্ট’।

ফলে খুব সহজেই আন্দাজ করা যাচ্ছে, নিজের বিপদে যাদের পাশে পেয়েছেন তাদের নিয়েই নিজের বিশেষ দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান এই অভিনেত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্যবারের মতো এবার আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা খুব বেশি লম্বা হবে না।

প্রসঙ্গত, সাহস এবং প্রতিবাদের ভাষা বিস্ময়কর। এর চেয়ে মধুর প্রতিশোধ আর হয় না। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির পর পরীর পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট এবং মাথায় সাদা পাগড়ির মতো করে জড়ানো একটি কাপড়।

জামিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে একটি ছাদ খোলা গাড়িতে উঠে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন তিনি।

পরী তার হাতের তালুতে মেহেদির রঙে লিখেছিলেন- ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। লেখাটির নিচে তিনি এঁকেছিলেন হাতের মধ্যাঙ্গুল প্রদর্শনের একটি চিহ্ন।

পরবর্তীতে আদালতে হাজিরা দিতে গেলেও তার হাতের তালুতে মেহেদীর রঙে নতুন লেখা নজরে আসে। এগুলো অবশ্যই পরীর প্রতিবাদী বার্তা ছিল।