কার্যকর সন্ত্রাস দমনে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা: রাষ্ট্রদূত ফাতিমা

আন্তর্জাতিক জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তসীমান্ত সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৩৭৩-এর ২০ বছর পূর্তি এবং নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাস দমন কমিটির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় বক্তব্যকালে এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার হামলার দুই সপ্তাহ পরে রেজুলেশন ১৩৭৩ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়, যার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ দমনে সব দেশের কাজ করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। ওই সময়ে বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ছিল।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রেজুলেশন ১৩৭৩-এর কার্যকর বাস্তবায়নে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সক্ষমতার ঘাটতি, সব স্তরে কার্যকর আন্তসীমান্ত সহযোগিতা, দেশগুলোর মধ্যে অপারেশনাল তথ্যের নির্বিঘœ আদান-প্রদান এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সন্ত্রাসবাদ এবং এর যেকোনও ধরণ বা রূপের প্রতি বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরুল্লেখ করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে গৃহীত সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত।’ সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নসহ এ ধরনের যেকোনও হুমকি দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যেসব আইন প্রণয়ন এবং নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্প, অটল প্রতিশ্রুতি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সামাজিক আন্দোলন শুরু করতে আমাদের সাহায্য করেছে।’ তিনি এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জোরালো সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার সব আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকার জন্য বাংলাদেশের যে অবিচল অঙ্গীকার রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।


বিজ্ঞাপন