জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় কেন?

অর্থনীতি

আজকের দেশ রিপোর্ট : আমরা কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছি। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি দাম অস্বাভাবিক রকমের বৃদ্ধি পেয়েছে।


বিজ্ঞাপন

তেল, গ্যাস ও কয়লার এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভালো অবস্থানের দেশগুলোকেও বিপাকে ফেলেছে।
আমরাও এর বাইরে না। জ্বালানির অপর্যাপ্ততার কারণে ভারত ও চীনের মত দেশও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে।

আমরা এখনো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প-কলকারখানাতে উৎপাদনের জন্য নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছি।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও পার্শ্ববর্তী দেশে আমাদের থেকে দাম বেশি হওয়ার কারণে পাচার হওয়ার আশঙ্কায় আমাদেরকেও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করতে হয়েছে।

তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে আসা মাত্রই আবারো আমরা দাম সমন্বয় করবো।

তবে এটা স্থায়ী সমাধান না। আমাদেরকে স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে। এটা ঠিক যে, জ্বালানি তেলের দামের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কৃষি থেকে পণ্য পরিবহন অনেক কিছুই জড়িত। (কৃষি যেহেতু দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন, তাই সেখানে সরকারের ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে) আমাদেরকে এখন থেকেই বিকল্প ভাবতে হবে।

বিশেষ করে পাবলিক ইউটিলিটি ট্রান্সপোর্টকে ইলেকট্রিক গাড়িতে রূপান্তর করতে পারলে জ্বালানি তেলের উপর চাপ অনেকটা কমে আসবে। যারা পরিবহন ব্যবসা করেন তারা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারেন। সরকার থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

জ্বালানি তেল ব্যবহার করে যে পরিমাণ ইফিসিয়েন্সি পাওয়া যায় তার থেকে চারগুণ বেশি ইফিসিয়েন্সি পাওয়া সম্ভব ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করলে। পরিবেশ দূষণ কমার পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহারও বাড়ানো সম্ভব। মধ্যরাত থেকে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জিং করলে বিদ্যুতের ট্যারিফ কমানোর কথাও আমরা বিবেচনা করবো।