বর্ধিত ভাড়ার ডবল প্রতারণা

বিশেষ প্রতিবেদন

দ্বিতীয় দিনেও ভাড়া নিয়ে যাত্রী-কন্ডাক্টরের দ্বন্দ্ব
বাস ভাড়া বাড়ার দু’দিন পর তৎপর হলো বিআরটিএ
যাত্রীদের প্রতিবাদে আগের ভাড়ায় ফিরলো চক্রাকার বাস

 


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। যেসব বাস গ্যাসে চলে সেসবেও নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন রুটে বাসে দেখা গেছে এ অবস্থা। রাজধানীর বেশিরভাগ বাসে নেই ভাড়ার তালিকা। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নেওয়ায় অসন্তোষ দেখা গেছে যাত্রীদের মাঝে। ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি নেওয়ারও অভিযোগ করেন তারা।
যদিও চালকরা বলছেন, মালিকরা তেলের গাড়ির সমপরিমাণ জমা নেওয়ায় বাধ্য হয়েই তাদেরও বেশি ভাড়া নিতে হচ্ছে।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর পরিবহন ধর্মঘটে বাস বন্ধ ছিল গত তিন দিন। মালিকদের দাবিতে সরকার ভাড়া বাড়ানোর পর সোমবারই বাস চলাচল শুরু হয় রাজধানীর রাস্তায়। তবে এখনও সমস্যা সেই ভাড়া।
মিরপুর, আজিমপুর, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, বাড্ডাসহ আরও কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্বল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে আগের তুলেনায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, যদিও সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে ২৭ শতাংশ।
বাসের হেলপার ও সহকারীদের মতে, সরকারের তরফ থেকে এখনও ভাড়ার নতুন তালিকা ছাপানো হয়নি। ফলে মালিক যেভাবে বলছেন, সেভাবেই তারা ভাড়া কাটছেন।
রোববার বিকালে বিআরটিএ এর সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠকের পর জানানো হয়েছিল, মহানগর এলাকায় প্রতি কিলোমিটারে বাস ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সার থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হচ্ছে। আর মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। ভাড়া বাড়ানোর পর সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, নির্ধারিত ভাড়ার বেশিই নেওয়া হচ্ছে।
দ্বিতীয় দিনেও ভাড়া নিয়ে যাত্রী-কন্ডাক্টরের দ্বন্দ্ব : স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের অনেকে ওই বাড়তি ভাড়া দিতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে অনেক জায়গায় বাসকর্মীদের সঙ্গে তাদের বিত-া কিংবা হাতাহাতিও ঘটছে।
পরিবহনের চালকের সহকারীরা জানান, শতকরা ৮০ জনের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। চিৎকার চেচামিচি হচ্ছে। গালাগালও দিচ্ছে।
টানা তিনদিন অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট তুলে নেয়ার পর রোববার রাত থেকে রাজধানীতে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। রাতেই ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়তে দেখা গেছে। তবে দ্বিতীয় দিনেও নতুন ভাড়ায় যাত্রী-বাসের কন্ডাক্টরদের দ্বন্দ্ব, বাগবিত-া দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে অনেক দূরপাল্লার বাস এসে পৌঁছায় রাজধানীতে। তারা নতুন নির্ধারিত ভাড়া আদায় করছে। কোনো কোনো পরিবহন নতুন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। কোথাও কোথাও বাস শ্রমিকদের সঙ্গে বাগবিত-াতেও জড়াচ্ছেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা বলছেন, তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এটা অযৌক্তিক। লিটারে ৫ টাকা করে বাড়ালে সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হতো। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মোহাম্মাদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর ও মহাখালী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগর পরিবহনের বিভিন্ন কোম্পানির বাসগুলো সড়কে চলাচল করছে। যাত্রীরা বিভিন্ন স্টপেজে ভিড় করছেন।
একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন ইয়াসিন আলী। মোহাম্মদপুর থেকে তিনি যাবেন পুরানা পল্টন। বাসের হেলপারের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তার বাগবিত-া শেষে তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, গত তিনদিন সড়কে বাস চলেনি, এতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এখন বাস চলাচল শুরু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।
তিনি অভিযোগ করেন, নতুন করে বাসের যে ভাড়া নেয়া হচ্ছে তা অন্যায়। কিন্তু এতে আপনি কিছুই বলতে পারবেন না। এভাবেই চলতে হবে।
আমীন বাজার থেকে এক অফিসগামী যাত্রী এসেছেন ধানমন্ডি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আগে আসতাম ২৫ টাকায় আর এখন নিচ্ছে ৩৫ টাকা। সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিলেও এতো টাকা লাগতো না। সরকার নির্ধারিত ভাড়া তারা আগেও বেশি নিয়েছে এখন আরও বেশি নিচ্ছে।
আসাদগেট থেকে বাসে মগবাজারে নামেন কালাম সরদার। প্রতিদিন আসাদগেট থেকে ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু নতুন ভাড়া কার্যকর হওয়ায় তাকে বাড়তি ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। অনেকটা অসন্তোষ প্রকাশ করে রেজাউল বলেন, ১০ টাকা বেশি নেয়াটা ঠিক হয়নি। সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা বাড়ানো যেত।
গত ৩ নভেম্বর রাতে ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে সরকার, যা ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। তখন পরিবহন মালিকরা বলেন, এত দামে ডিজেল কিনে বিদ্যমান ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। পরে মালিকরা শুক্রবার সকাল থেকে বাসসহ পণ্যবাহী যান চালানো বন্ধ করে দেন। যদিও তাদের দাবি, ধর্মঘটের বিষয়ে তাদের কোনো নির্দেশনা ছিল না। আর অঘোষিত ওই ধর্মঘটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএর কাছে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। কিন্তু বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বৈঠকের জন্য মালিক সমিতিকে রোববার ডাকে বিআরটিএ।
পরে বৈঠক শেষে মালিকপক্ষের দাবি মেনে নিয়ে বাসের ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। পরে ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর থেকেই সড়ক মহাসড়কে চলতে শুরু করে বাস।
যাত্রীদের প্রতিবাদে আগের ভাড়ায় ফিরলো হাতিরঝিলের চক্রাকার বাস : জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে বেড়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। সে অনুযায়ী রাজধানীর হাতিরঝিলে চক্রাকার বাস সার্ভিসে ‘পাঁচ টাকা’ করে বাড়ানো হয় ভাড়া।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা হয়। পরে মঙ্গলবার আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায় চক্রাকার বাস সার্ভিসকে।
যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে সোমবার বেশি ভাড়া নিয়েছে চক্রাকার বাস। তারা কোনো নিয়মনীতি মানছে না। কিলোমিটার না মেনেই ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করায় আগের ভাড়ায় ফিরে গেছে চক্রাকার বাস সার্ভিস।
তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি কিলোমিটার বা মিটার মেপে ভাড়া আদায় করা সম্ভব না। তাদের টিকিট কাউন্টারগুলোও মিটার মেপে বাসানো হয়নি। ফলে আগের নির্ধারিত ভাড়া থেকে প্রতি কাউন্টারে গড়ে পাঁচ টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তবে যাত্রীরা প্রতিবাদ করায় নতুন ভাড়া স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩০২ একর জায়গার ওপর হাতিরঝিলকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সংস্থাটি জানায়, হাতিরঝিলের চারপাশে ১৬ কিলোমিটার একমুখী সড়ক। ২০১৬ সালে এই সড়কে যাত্রী পরিবহনে ১০টি মিনিবাস চালু হয়। এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এইচ আর ট্রান্সপোর্ট। আর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রাজউক।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিরঝিলে যাত্রী পরিবহন করছে চক্রাকার বাস সার্ভিস। এর মধ্যে রামপুরার ছয় নম্বর কাউন্টারের সামনে পুনর্র্নিধারিত ভাড়ার তালিকা টানিয়ে রেখেছে এইচ আর ট্রান্সপোর্ট। এই তালিকা অনুযায়ী বাড্ডা-রামপুরা থেকে মহানগর, মধুবাগ, বউবাজার, হ্যাপি হোমস, শুটিং ক্লাবের ভাড়া ১৫ টাকা। এফডিসি মোড় পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা। রামপুরা থেকে চক্রাকার ঘুরে আবার রামপুরা গেলে ভাড়া ২০ টাকা।
তবে কাউন্টারের সামনে এমন তালিকা টানানো থাকলেও আগের নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছে এইচ আর ট্রান্সপোর্ট।
রামপুরা থেকে এফডিসি মোড়ে যাতায়াত করেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাতিরঝিলে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য প্রকল্প এলাকার ১০টি জায়গা নির্ধারণ রয়েছে। এর মধ্যে রামপুরা, মধুবাগ, এফডিসি মোড়, বৌবাজার, শুটিং ক্লাব ও মেরুল বাড্ডার ছয়টি কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যায়। এসব কাউন্টারে গতকাল পাঁচ টাকা করে বেশি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানালে সবাই সায় দেন।
এইচ আর ট্রান্সপোর্টের পরিদর্শক জাহিদ হোসেন জানান, তারা আগের ভাড়া নিচ্ছেন। চক্রাকার বাস সার্ভিসে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। মালিক পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে গতকাল বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন জাহিদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এইচ আর ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হালিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে রোববার (৭ নভেম্বর) গণপরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসভাড়া বাড়ায় সরকার।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হবে। এছাড়া বড় বাসে সর্বনি¤œ ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, সেটা ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৪৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারপ্রতি ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ আর মহানগরে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বাড়লো।
এর আগে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ায় সরকার। এরপরই ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সারাদেশে তিনদিন ধরে পরিবহন ধর্মঘট করেন মালিকরা।
বাস ভাড়া বাড়ার দু’দিন পর তৎপর হলো বিআরটিএ : সরকার নির্ধারিত নতুন ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে বিভিন্ন রুটের বাসে জরিমানা করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাস ভাড়া বাড়ার দুদিন পর তৎপর হলো সংস্থাটি। মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় দুপুরের পর থেকে পরিচালিত হয় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ’র পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সারোয়ার আলম।
এসময় বিআরটিএ কর্মকর্তারা বাসের যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে সম্পর্কে অবহিত হন। যাত্রীরা এ সময় অভিযোগ করেন, সর্বনি¤œ ভাড়া ১০ টাকা হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ টাকা আদায় করছে বিভিন্ন পরিবহন।
অভিযান চলাকালে বাসের যাত্রীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, উইনার ও দেওয়ান পরিবহনে যে কোন জায়গা থেকেই ওঠা হোক না কেন ১০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সর্বনি¤œ ভাড়া ১০ টাকা হওয়ার পরও স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের কাছ থেকেও তারা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। চালক ও তার সহকারীসহ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা তাদের মনমতো ভাড়া নির্ধারণ করে যাত্রীদের পকেট কাটছেন বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া না দেওয়া হলে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নয়তো বাসে উঠতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সরোয়ার আলম বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে তা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি আদায়ের বিষয়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। নির্ধারিত ‘ওয়ে বিলের’ নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলবে না। অভিযান চলমান রয়েছে পরবর্তীতে মামলা কিংবা জরিমানার সবশেষ বিষয়টি জানানো সম্ভব হবে।