বস্তিবাসীর পানির বিল শতভাগ পরিশোধ

জাতীয়

প্রভাবশালীদের লাখ টাকা বকেয়া


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করা হয় না। প্রভাবশালীদের পানির বিল জমতে জমতে লাখ টাকাও বাকি পড়ে যায়। বিপরীত দিকে বস্তিবাসীদের পানির বিল প্রায় শতভাগ পরিশোধিত থাকে।
শনিবার ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত ‘নি¤œ আয় এলাকার আদর্শ গ্রাহকদের সম্মাননা স্মারক বিতরণী’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
তাকসিম এ খান বলেন, ‘যেখানে গুলশানে প্রভাবশালীদের কাছে লাখ টাকা বকেয়া থাকে, কিন্তু এই বস্তির মানুষের পানির বিল প্রায় শতভাগ পরিশোধিত৷’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ যারা নি¤œ আয়ের এলাকায় বসবাস করে, তারা বৈধভাবে পানি পেত না। তারা পানি পেত মাস্তানদের থেকে। সেটাও দুইগুণ দামে৷ এটা একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ ছিল, তাদের বৈধ পানির আওতায় নিয়ে আসা। আজ তারা শুধু বৈধ পানির আওতায় আসেননি। আদর্শ গ্রাহক হয়েছেন।’
ঢাকা ওয়াসাকে আরও ডিজিটাল করার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা ওয়াসাকে যত বেশি ডিজিটাল করতে পারব, আমাদের নি¤œ আয়ের মানুষ তত বেশি উপকৃত হবে।’
ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, আমরা সেই দায়িত্ব থেকে আমরা বিচ্যুত হইনি। ওই সময় পানির অনেক সমস্যা ছিল। কলসি মিছিল হতো। একজন এমপিকে মানুষ তাড়া করেছিল, পানির জন্য। ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। আমরা সফল। এখন পানির অভাব নেই। এখন আর কসলি মিছিল হয় না।’
তিনি বলেন, ‘করাইল বস্তিতে আমি দেখেছি শত শত পাইপের মাধ্যমে অবৈধভাবে পানি আসত। এখন বস্তির মানুষ ও অন্যরা একইভাবে পানি পাচ্ছে। বস্তির মানুষ পানির বিল দিচ্ছেন।’
অনুষ্ঠানে ২৫ বস্তিবাসীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র-ডিএসকের নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদা ফিজ্জা কবীর।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বস্তি ভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা ও আদর্শ গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন।