বিজিবি এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বাহিনী এখন ত্রিমাত্রিক; জল-আকাশ-স্থল সীমান্তে সুরক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। রোববার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ ২০২১ এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিজিবির কুচকাওয়াজে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবির সদস্যদের দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলা মেনে দেশের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কখনো চেইন অব কমান্ড বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না। এর আগে বিজিবি দিবস ২০২১ এর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিএসএফ মহাপরিচালক পংকজ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে। শনিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর আমন্ত্রণে সাত সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। সেখানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলাম অতিথিদের শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা আপনারা দেশপ্রেম শৃঙ্খলা নিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। একটি কথা সব সময় মনে রাখতে হবে শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড শৃঙ্খলা বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি।
তিনি বলেন, কখনো শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটাবেন না। তাতে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা প্রতিটা শৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্য কর্তব্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিজিবির আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সৈনিকদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বিজিবি সদর দফতর পিলখানা ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণসহ চারটি সৈনিক ব্যারাক এবং সব রিজিয়ন/প্রতিষ্ঠান/মেন্ট/খাটালিয়নের আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধিতে সর্বমোট ১৯৩টি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার এই মহামারির মধ্যেও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে সমাদৃত। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। এই বিশাল দায়িত্ব পালন শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় সবাইকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার জন্য আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতার প্রত্যাশিত আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি একদিন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন