মার্কেটিং ম্যানেজার থেকে ঔষধ কোম্পানির মালিক বনে যাওয়া ওবায়দুলের হাত কতটা লম্বা?

অপরাধ এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ শেড ফার্মাসিউটিক্যালস আয়ুর্বেদিক কোম্পানিতে মাত্র ৩ বছর ম্যানেজার মার্কেটিং পদে চাকরি করে ওবায়দুল আজ ফেম ল্যাবরেটরীজ ( আয়ু) এর গর্বীত মালিক। রাজধানীর পলাশ নগর পল্লবী মিরপুর -১১ ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর অবস্থান। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ এর দাপ্তরিক কাজের মধ্যে মিরপুর এলাকার সকল ঔষধ কোম্পানির দেখভালের দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত। উক্ত কোম্পানির নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হলেন সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের রুটিন মাফিক কাজের মধ্যে ই মিরপুর, পল্লবী এলাকায় অবস্থিত ঔষধের পাইকারী ও খুচরা ফার্মেসি এবং ঔষধ কোম্পানি নিয়মিত পরিদর্শন, নমুনা তুলে তা ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে প্রেরণ করা সহ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কিছু দায়িত্ব পালন করছেন মওদুদ আহমেদ।


বিজ্ঞাপন

 

গত ১৬ ডিসেম্বর আজকের দেশ ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালে ” ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর কারখানায় ঔষধের নামে কি তৈরি হচ্ছে?” শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। উক্ত রিপোর্ট প্রকাশ কালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উল্লেখিত দুজন কর্মকর্তার বক্তব্য সহ সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কারখানায় ঔষধের নামে জনস্বাস্থ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলে এমন সব কেমিক্যাল ব্যাবহার পূর্বক ঔষধ তৈরি ও বাজারজাতের বিষয় উল্লেখ করা হয়।

 

রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় পর থেকে অদ্যাবধি এ রিপোর্ট লেখা অবধি ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট ও ঔষধ ব্যাবসার সাথে জড়িত স্বাস্থ্য সচেতন মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। অথচ বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত ঔষধ তৈরির অভিযোগে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনার বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই। বরং রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় পর ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর মালিক ওবায়দুল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধবদের কাছে বেশ বেপরোয়া ও দুঃসাহসিকভাবে বলে বেড়াচ্ছেন তার হাত নাকি অনেক দূর পরযন্ত লম্বা!

এখন, সচেতন মহল এর প্রশ্ন হলো ওবায়দুর রহমানের হাতটা কতটা লম্বা মওদুদ আহমেদ পরযন্ত না সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম পরযন্ত নাকি আরও উপরে উপ-পরিচালক, পরিচালক কতটা উপরে? এই বিষয় টা এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

 

ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর বিষয়ে সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অত্যান্ত বিনয়ের সাথে সরকারি কর্মকর্তা সূলভ আচরণ বিধি মেনে বলেন, কোন ঔষধ কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে বা কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর উল্লেখিত অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ব্যাবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর বিষয় টা যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অপর কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বেশ কর্কশ কন্ঠে সরাসরি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে গিয়ে তার সাথে কথা বলতে বলেন।

প্রসঙ্গপূর্বক উল্লেখ করা হলো যে, আজকের দেশ ডটকম এর জনৈক প্রতিবেদক ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর প্রতিবেদন টি অফিসে জমা দেওয়ার পর অত্র নিউজ পোর্টাল এর সম্পাদক এবং প্রকাশক প্রতিবেদনটির সত্যতা ও তদন্তের স্বার্থে নিজে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ এবং মেঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে আলাপ করেন।

সচেতন মহল এর প্রশ্ন একজন সরকারি নন -ক্যাডারের কর্মকর্তা কি কোন প্রচার মাধ্যমের সম্পাদক এবং প্রকাশককে সশরীরে তার অফিসে গিয়ে দেখা করে কথা বলতে বলার এখতিয়ার তিনি রাখেন কি? প্রটোকল অনুসারে কতটা যুক্তিযুক্ত আচরণ বিধি মেনে তিনি একজন প্রচার মাধ্যমের সম্পাদক এবং প্রকাশক কে এমন কথা বলেন?

ফেম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর মালিক ওবায়দুর রহমানের হাতটা কতটা লম্বা মওদুদ আহমেদ এর বক্তব্যে মোটামুটি সুস্পষ্ট কোন ইঙ্গিত বহন করে কি? সচেতন মহলের কাছে এখন এই প্রশ্নটা ই ঘুরপাক খাচ্ছে।