মউশি’র ৪ হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, শেরপুর জেলা কারাগারে কারারক্ষী কর্তৃক জামিন প্রাপ্তদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ০৭টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা সহ ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি কর্তৃক চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব জেসমিন আক্তার এবং রনজিৎ কুমার কর্মকার এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আজ মাউশি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।

দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সততা উদঘাটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরীর সাথে কথা বলেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেন।

নিয়োগ বিধি ১৯৯১ অনুযায়ী তাদের নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে প্রথমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিলেও পরবর্তীতে ৭০ নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ‘

প্রদর্শক’ শ্রেণির ক্যাটাগরীর দশম গ্রেডের পদগুলোকে তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে নিজেরা (মাউশি) নিয়োগ দেয় কিন্তু পদোন্নতির বেলায় পিএসসির মাধ্যমে ২য় শ্রেণি বা দশম গ্রেড দেখিয়ে ক্যাডার সার্ভিসের সাথে আত্মীকরণ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, আমাদের কাজ নিয়োগ দেই আর পিএসসি’র দায়িত্ব প্রমোশন দেওয়া। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।

এ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, নথির নোটশীটে দশম গ্রেডের পদগুলোকে দ্বিতীয় শ্রেণী উল্লেখ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে অনুমোদন নেয়া হয় এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়।

এতদ্বিষয়ে নিয়োগ বিধি এবং কমিটির কার্যবিবরণীসহ আরো অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে সরবরাহকৃত কাগজপত্র যাচাইপূর্বক বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

অপর এক অভিযোগে জানা গেছে,
জেলা কারাগার, শেরপুর-এর সহকারী কারারক্ষীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জামিন প্রাপ্ত বন্দীদের নিকট হতে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইল-এর উপসহকারী পরিচালক লতিফ হাওলাদার নেতৃত্বে আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম সরেজমিনে শেরপুর কারাদপ্তর পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলে।

তিনি দুদক টিমকে জানান, অভিযোগকারী ইতোমধ্যে তার টাকা বুঝে পেয়েছেন। তার দুজন স্ত্রী দাবিদার থাকায় এ অর্থ পরিশোধে বিলম্ব হয়।

জেলের একটি অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ যাচাইপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৫টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।