!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ ৯ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৬ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
বিশেষ প্রতিবেদক ঃ বিআরটিএ, উত্তরা, ঢাকা-এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও মালিকানা পরিবর্তন বাবদ ঘুষ গ্রহণের অভিযাগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ ও আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ সরোজমিনে উত্তরা বিআরটিএ অফিসে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে অফিস প্রধান বিআরটিএ মিরপুরে অবস্থান করায় তার সাথে দুদক টিমের টেলিফোনিক আলাপ হয়। নথিপত্র বিশ্লেষণ পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবেন এনফোর্সমেন্ট টিম।
৬ নং বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ, সদর উপজেলা, বরগুনা-এর সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাবিটা প্রকল্পের রাস্তার কাজ না করেই সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাতের অভিযােগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, পটুয়াখালী হতে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনসাধারণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে আলোচনা করে দুদক টিম।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের কোন কাজ করা হয়নি। স্থানীয় লোকজনের টিমকে জানায়, গত ৫-৬ বছরে উক্ত এলাকায় কোন রাস্তার সংস্কার কাজ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান যে, উক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ইতিমধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্পের কাজ না করে প্রকল্পের অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি সঠিক মর্মে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর অনুসন্ধানের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী-এর সিপাহীর বিরুদ্ধে ট্যাঙ্কার ওয়াগন থেকে তেল চুরি ও ট্রেনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে বিক্রয়ের অভিযােগে দুদক, সজেকা, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হক-এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুদক টিমকে জানায়, তেল চুরির বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও দু’জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, সিজিপি ওয়াই চৌকি, চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন যাবৎ পোস্টিং-এ থেকে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় চট্টগ্রাম (পূর্বাচল) রেলওয়ের চীফ কমান্ডেন্ট জনাব জহিরুল ইসলাম দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমকে জানান। এনফোর্সমেন্ট টিম উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৬ টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।