খেলাধুলার জন্য ড্যাপে প্রয়োজনীয় মাঠ রাখা হয়েছেঃ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

অন্যান্য এইমাত্র

ঢাকার ছেলেরা আগামীতে ফুটবল-ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবেঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজধানীকে কেন্দ্র করে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপসহ যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, সেসব পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের স্থান রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার সন্ধ্যায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় “ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “রাজধানীতে খেলার জন্য যত মাঠ দরকার তা পূরণের জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রগণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুই মেয়র যেখানেই সুযোগ পাচ্ছেন ছোট পরিসর হলেও ছেলে-মেয়েদের জন্য নতুন নতুন খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে খেলার মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক-হাসপাতালসহ নগরবাসীর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”

সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “নতুন প্রজন্মের শারীরিক, মানসিক এবং সাংস্কৃতি বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই, যেখানেই খোলা জায়গা থাকবে সেখানেই খেলার মাঠ সৃষ্টিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “শুধু আবাসিক ভবন করলেই হবে না, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, বাজার, জলাশয় এবং সবুজায়নের জন্য প্রয়োজনীয় গাছ-পালা দরকার। এসব কিছু মাথায় রেখে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ার জন্য সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ।”

তিনি আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে যে উদ্দীপ্ত চিন্তা-চেতনা ও মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে তাতে করে অল্প সময়ের ব্যবধানে সকল সমস্যার সমাধান হবে।

জলাবদ্ধতা, ময়লা-আবর্জনা এবং যানজটমুক্ত মুক্ত একটি নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরগণ জনগণকে সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।”

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঢাকার ছেলেরা নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “আমরা প্রত্যকটি ওয়ার্ডেই জায়গা চিহ্নিত করছি, খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি করছি এবং সেগুলোকে খেলার মাঠ হিসেবে উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। আমি চাই, আমাদের সন্তানেরা আবার ক্রীড়ামুখী হোক, খেলাধুলায় ফিরে আসুক। ইনশাআল্লাহ, আমাদের এই আয়োজনের মাধ্যমেই আগামীতে ঢাকার ছেলেরা ফুটবলে, ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে।”

এই আয়োজনে শুধু ঢাকার ছেলেরাই অংশ নিচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “ঢাকার অধিবাসী, ঢাকা ভোটার, ঢাকার খেলোয়াড়, ঢাকার তরুণেরা আমাদের মাঠে খেলাধুলা করবে। ঢাকার ছেলেদের নিয়েই এবারের আয়োজনে ৬২টি ফুটবল দল এবং ৪৮টি ক্রিকেট দল গঠন করা হয়েছে। পুরো মার্চ মাস জুড়ে তারা ঢাকার বিভিন্ন মাঠে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এই ঢাকা শহরে খেলামুখী একটি প্রাণচাঞ্চল্য ও উত্তেেজনা সৃষ্টি করবে। এর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ছেলে-মেয়েদের মাঝে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে। তাদেরকে ক্রীড়ামোদী হতে উদ্দীপনা যোগাবে।”

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এবং দক্ষিণ সিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোহাদ্দেস হোসেন জাহিদ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া, মধুমতি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির এবং দক্ষিণ সিটির সাধারন আসনের কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকার উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র হয়। পরবর্তীতে ট্রাইবেকারে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ৪-২ গোলে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডকে পরাজিত করে।

আজকের খেলায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলরক্ষক আকতার উদ্দিন সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী খেলা সমাপ্তির পরে আতশবাজির রঙ্গিন আলোয় সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামসহ পুরো এলাকা বর্ণিল হয়ে ওঠে। এরপরে জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুট সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করে।