অভিনব কায়দায় পেটের ভিতরে ৯০০০ পিস ইয়াবা পাচারকালে ২ জন র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

Uncategorized অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ “চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে” এই স্লোগানে উজ্জ¦ীবিত হয়ে র‌্যাব ফোর্সেস মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।

র‌্যাব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারীর পাশাপাশি সফল অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

মাদক কারবারীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাদকদ্রব্য ইয়াবার বড় একটি চালান কক্সবাজার হতে বিশেষ কৌশলে (পাকস্থলির ভিতর) বহন করে রাজধানীর দিকে নিয়ে আসছে। র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল এই মাদকবাহী চক্রের অনুসন্ধান শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ১ মে, অনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটের সময় র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তি জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার হতে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্যাপসুল আকারে পলিথিনে পেঁচিয়ে কৌশলে পেটের ভিতরে সংরক্ষণ করে ডিএমপি, ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানাধীন ময়মনসিংহ টু ঢাকা মহাসড়কের পূর্ব পাশে খন্দকার সিএনজি স্টেশনের সামনে অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানাধীন ময়মনসিংহ টু ঢাকা মহাসড়কের পূর্ব পাশে খন্দকার সিএনজি স্টেশনের সামনে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল সিকদার (২৭), পিতা- মৃত হোসেন সিকদার, জেলা- ফরিদপুর এবং মোঃ মনিরুজ্জামান (২৬), পিতা- মোঃ আয়ুব মোল্লা, জেলা- ফরিদপুর’দ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃত আসামীদের হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করানো হলে আসামীদের পাকস্থলিতে সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি ধরা পড়ে।

পরবর্তীতে আসামীদের পাকস্থলি হতে বিশেষ কৌশলে বহণ করা ১৮০ টি ক্যাপসুল (যার প্রত্যেকটির ভেতরে ৫০ টি করে) মোট ৯,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (আনুমানিক মূল্য ২৭,০০,০০০ সাতাশ লক্ষ টাকা) উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ধৃত আসামীদের নিকট হতে ০৪ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৪,০২০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, ৯,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এর ৭,৯২০ পিস শুকনো অবস্থায় ও ১,০৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ভেজা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার কৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরাচালানের মাধ্যমে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পরিবহণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করে। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে আসছে।

গ্রেফতার কৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পেশায় শ্রমজীবী। তারা ইতিপূর্বে ১০/১২ টি ইয়াবার চালান একই উপায়ে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাসমূহে সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে।

গ্রেফতার কৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


বিজ্ঞাপন