বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ২.০৭১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১০,০০০ পিস ইয়াবা সহ ২ জন মিয়ানমার নাগরিক আটক

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১০ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের ২.০৭১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১০,০০০ পিস ইয়াবা সহ ২ জন মাদক পাচারকারীকে (বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিক) আটক করা হয়েছে।

সোমবার ২ মে রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৭ হতে ৭০০ গজ পূর্ব দিকে পার্শ্ববর্তী নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করতঃ দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষারত থাকে।

আনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটের সময় টহলদল তিনজন চোরাকারবারীকে মিয়ানমার হতে একটি কাঠের নৌকাযোগে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত চোরাকারবারীদেরকে দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়।
বিজিবি’র উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই নৌকা হতে একজন চোরাকারবারী লাফিয়ে সাঁতার দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল উক্ত নৌকাটিকে চারিদিক থেকে স্পীডবোটের মাধ্যমে ঘেরাও করে অপর দুইজন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল কর্তৃক আটককৃত দুইজন চোরাকারবারীকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নৌকার পাটাতনের নিচ হতে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ১টি বস্তা জব্দ করা হয়।

উক্ত বস্তা থেকে ২.০৭১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে ১টি কাঠের নৌকাও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ও নৌকার আনুমানিক সিজারমূল্য ১০,৬৫,৭০,০০০ (দশ কোটি পঁয়ষট্টি লক্ষ সত্তর হাজার) বাংলাদেশী টাকা মাত্র।

আটককৃত মাদক পাচারকারীদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, মোঃ নূর কবির (৩০), পিতা-মৃত আলী মিয়া, মাতা-মৃত জরিনা খাতুন, ১৮ নম্বর বালুখালি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক ক্যাম্প, ব্লক-কে/২, এফসিএন নম্বর-১৮১৯২৭, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার এবং মোঃ রহিমুল্লাহ (২৪), পিতা-মোঃ নুরুজ্জামান (৫৫), মাতা-মোছাঃ নুর নাহার (৫০), ১১ নম্বর বালুখালি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক ক্যাম্প, ব্লক-জে/৩, এফসিএন নম্বর-১৯১৫০৪, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।

উল্লেখ্য, আটককৃত মাদক পাচারকারীদেরকে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অবৈধভাবে মাদক বহন ও পাচার এর দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


বিজ্ঞাপন