কমছেই না সড়ক দুর্ঘটনা

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক : কোনভাবেই কমছে না রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা। রাজিব থেকে কৃষ্ণা রায়, বেপরোয়া চালকদের খামখেয়ালিপনায় প্রতিনিয়ত অঙ্গহানি কিংবা জীবন হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এজন্য সব পক্ষের নিয়ম না মানার প্রবণতাকে দায়ী করছে ট্রাফিক পুলিশ।
বুয়েটের গবেষণা বলছে, গত চার বছরে শুধু ঢাকাতেই সড়ক দুর্ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষ নিহতের পাশাপাশি মারাত্মক আহত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলোমেলো রুট বন্ধ না করতে পারলে সড়কে কখনোই শৃঙ্খলা ফিরবে না।
গত এপ্রিলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর দুই সপ্তাহ পর হাসপাতালে মারা যান কলেজ ছাত্র রাজিব হোসেন। এরপর ওই মাসেই একইভাবে মারা যায় গোপালগঞ্জের হৃদয়। সবশেষ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরে বাস চাপায় পা হারান বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় চৌধুরী।
গণমাধ্যমের হিসেবে গত দেড় মাসে দেশে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২০টি। যার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচজন। বাকিরা হয়েছেন পঙ্গু। রাস্তার শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের দাবি, সব পক্ষের আইন না মানার প্রবণতাই এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
একজন বলেন, যাত্রীরা যত্রতত্র বাসে উঠার জন্য রাস্তার মাঝে চলে আসে। চালকেরা রোডের সাইন জানে না, নিয়ম জানে না। বেপরোয়া চালায়।
বুয়েটের দুর্ঘটনা ইনস্টিটিউটের মতে, ২০১৬ সালে শুধু ঢাকাতেই ১৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৬৯ জন। আর মারাত্মক আহত হয়েছেন ৪৩৯ জন। যেখানে এ বছর প্রথম আট মাসেই নিহত ১৮৮ আর মারাত্মক আহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২০৭ এ। ইনস্টিটিউটটির মতে, শহরে দুর্ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী অনিয়ন্ত্রিত গণপরিবহন আর মোটরসাইকেল। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরার জন্য তারা দায়ি করছেন ট্রাফিক পুলিশ, সিটি করপোরেশন আর রাজউকের স্বদিচ্ছার অভাবকে।
একজন বলেন, রাস্তায় দেখা যাচ্ছে সঠিকভাবে ডিজাইন করা হয় না। এবং রাস্তার পাশে কিন্ত আমরা হাই রেজ বিল্ডিং করে ফেলি। ফলে এখানে চলাচলে বড় সমস্যা হয়ে যায়। আর ট্রাফিক পুলিশ চিন্তা করে কতো বেশি মামলা করা যায়।
পরিবহন বিশেষজ্ঞের মতে, হাতিরঝিল ও গুলশানের মতো যতদিন পর্যন্ত পুরো ঢাকার গণপরিবহন এক রুটে না আনা যাবে ততদিন সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে না।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *