পিবিআই কর্তৃক ঝিকরগাছায় ভ্যানচালক ইকরাম হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

Uncategorized আইন ও আদালত

সুমন হোসেন (যশোর) ঃ
যশোরের ঝিকরগাছায় ভ্যানচালক ইকরাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আলমগীরকে রবিবার ৮ মে, রাত অনুমান সাড়ে ৩ টায় সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানাধীন হাদীপুর গ্রামস্থ জনৈক মোঃ রেজোয়ান হোসেনের রূপা ব্রিক্স নামক ইটভাটা থেকে গ্রেফতার করলো পিবিআই যাশোর।

হত্যাকান্ডের শিকার ইকরাম হোসেন ইকরাদ (৬০)যশোরের ঝিকরগাছার বাসিন্দা। তিনি গরু পালনসহ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ১৯/০৭/২০২১ তরিখ সে তার একটি গরু ৫৯,০০০ টাকায় বিক্রয় করে।

গত বছর ২০/০৭/২০২১ ঘটনার রাত অনুমান সাড়ে ১২ টায় বাদীর পিতা ইকরাম হোসেন ইকরাদ ঝিকরগাছা থানাধীন কৃর্ত্তিপুর গ্রামে হাওয়ার মোড়ে জনৈক কবিরের চায়ের দোকানে বসে চা পান করে বাড়ীর দিকে যায়।
ঐ দিন বিকাল অনুমান ৬ টার সময় ভিকটিম ইকরাম হোসেন ইকরাদ এর মৃতদেহ তার বসতবাড়ীর পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার হয়। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে ভিকটিম ইকরাম এর কন্যা মোছাঃ সালমা খাতুন বাদী হয়ে আজ্ঞাতনামা আসামী করে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি চাঞ্চলক্যর এবং ক্লুলেছ মামলা হওয়ায় পিবিআই, যশোর জেলা উক্ত মামলাটির তদন্তভার
স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে।

পিবিআই যশোর জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) স্নেহাশিস দাশ এর এসআই (নিঃ) হাশিস দাস সহ পিবিআই, যশোরের চৌকস দল গত ১১/০৮/২০২১ তারিখ পুলিশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অভিযুক্ত আসামী মোঃ সজীব (২২), ইমন হোসেন @ ইমন (২২) এবং ওয়াসিম সরদার (৩০), ৪। মোঃ সালাম সরদার (৩২) দেরকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমের লুণ্ঠিত ভ্যান উদ্ধার করে। অভিযুক্ত মোঃ সালাম সরদার এর স্বীকারোক্তি মোতাবেক মনিরামপুর থানাধীন বিজয়রামপুর সাকিনস্থ জনৈক মোঃ বাবলু বিশ্বাস (৩৫) এর বসত বাড়ী থেকে ভিকটিমের লুষ্ঠিত ভ্যান উদ্ধার করা হয়।

উক্ত আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে জড়িত পলাতক অপর আসামী মোঃ আলমগীর সরদার (২৪) কে রবিবার ৮ মে,
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ আলমগীর সরদার পেশায় একজন ইটভাটার শ্রমিক হিসাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে থাকে। সে সহ তার সহযোগী আসামি সজীব, ওয়াসিম ও ইমন সংঘবদ্ধ চোরদলের সদস্য। উল্লেখিত আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, ঘটনার রাতে তারা ভিকটিম এর বাড়ীতে ভ্যান চুরির উদ্দেশ্যে যায়।

ভ্যান নেওয়ার সময় ভিকটিম তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা ভিকটিমের ব্যবহৃত জামা দিয়ে হাত পা বেঁধে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ বসতবাড়ীর পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে ফেলে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।

অভিযুক্ত আসামী মোঃ আলমগীর সরদারকে রবিবার ৮ মে, আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলাটির তদন্ত অব্যহত রয়েছে।


বিজ্ঞাপন