বেঁচে থেকে মৃত থাকার চেয়ে, বেঁচে থেকে বেঁচে থাকাটা

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃআমরা অন্যায় অনিয়ম প্রতিবাদ করে ঝামেলা নিতে চাইনা। এমনকি যে অনিয়মের প্রতিবাদ করে, তাকে অধিকাংশ Demoralised করে। সর্বোচ্চ ২/৩ জন পাশে থাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি যখন দোর্দণ্ড প্রতাপে, কেউ যখন তার বিরুদ্ধে কথা বলে না, আমি ২০১৯ সালে তার অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে ডকুমেন্টস সহ পত্র দেই এবং আমার বিভাগের একটি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি (যা আমার বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিপন্থী ছিলো) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করি। এ দুটো কাজ প্রথম আমি একাই করেছিলাম। দুটো তে প্রাথমিক পর্যায়ে জিতেছি। আমাকে ২০২০ সালে সিনিয়রিটির নিয়ম লংঘন করে বিভাগের চেয়ারম্যানশীপ দিলেন না সাবেক ভিসি। আবার হাইকোর্টে রিট করলাম। রায়ের অপেক্ষায় আছি।

বিভিন্ন সহকর্মী পরামর্শ দেয়, খামাখা এত টাকা খরচ করছেন বা এত মানসিক চাপ নিয়ে যদি স্ট্রোক করে ইত্যাদি। আবার কেউ বলে, জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই করে লাভ কি!

আমার যদি কোন Fault থাকত, চাকরি খেয়ে নিত। আল্লাহর দয়ায় খুঁজে পায়নি। আমি জীবনে কখনো আপোষ করিনি। টাকা খরচ হয়েছে, অসুবিধা নাই। সবাই যদি টাকা জমানোর জন্য অনিয়মের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকে, তাহলে এ পৃথিবী থেকে ভালো সব কিছু হারিয়ে যাবে। আর স্ট্রোক বা মৃত্যু! তা যারা প্রতিবাদ করে না বা করে, সবার ক্ষেত্রে ঘটবে! তাই বেঁচে থেকে মৃত থাকার চেয়ে, বেঁচে থেকে বেঁচে থাকাটা আমার কাছে মূল্যবান। আমি একাই লড়াইয়ে নেমেছি, সেকারণে পাশে কাউকে পাব প্রত্যাশা করি না। তবে হ্যাঁ, অন্তত চার জন পরিবারের বাহিরের মানুষ আমাকে এ বিষয়ে সাপোর্ট দেন।

প্রফেসর ড. মু. আলী আসগর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।


বিজ্ঞাপন