নড়াইলে মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষে,আহত ৪

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের বুড়িখালি গ্রামের মিজান ভুইয়া গ্রুপ ও আয়ুব মোল্যা গ্রুপের মধ্যে আধীপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দন্ধ চলে আসছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,এ্যাড়েন্দা হাটে মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে মিজান ভুঁইয়া গ্রুপের সদস্য প্রতিপক্ষ আয়ুব মোল্যার সামনে মাছ কেনার জন্য জেলেকে বলে এ মাছ কেনার জন্য মিজান ভুঁইয়ার টাকা আছে তুই মিজান ভুঁইয়াকে ফোনদে,বলে আয়ুব মোল্যাকে অপমান করে। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আয়ুব মোল্যা মিজান ভুঁইয়া গ্রুপের ওই লোকের সাথে হাতাহাতি হলে কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ স্থানীয়’রা দুজনের মধ্যে ঝামেলা তাৎক্ষণিক মিমাংশা করে দেন। তারই জের ধরে ও পুর্বশত্রুতার জের ধরে মিজান ভুঁইয়া গ্রুপের লোকজন গত (১৮মে) বুধবার সন্ধার সময় চৌ-গাছা বাজারে আয়ুব মোল্যাকে হত্যার উদ্দেশে মিজান ভুঁইয়া গ্রুপের লোকজন দেশীয়অস্ত্র চাপাতি,ছেন-দা,লোহার রড,বাঁশের লাঠি নিয়ে চৌ-গাছা বাজারের মিজান খাঁ’র মুদি-দোকারের সামনে চায়ের দোকানের পাসে ওৎপেতে থাকে। এসময় আয়ুব মোল্যা জানতে পেরে দ্রুত নিজের জিবন বাচাঁতে পালিয়ে যায়। কিছু সময় পরে আয়ুব মোল্যার সমর্থক ইনায়েত ভুইয়ার ছেলে মো:রুমান ভুইয়া (২৩) বুড়িখালি গ্রামের মিজান খাঁ এর দোকানের সামনে চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে,আগে থেকে ওৎপেতে থাকা মিজান ভুঁইয়ার লোকজন রুমান এর উপরে হামলা করে,এসময় আয়ুব মোল্যার সমর্থ’রা খবর পেয়ে চৌ-গাছা বাজারের মিজান খাঁ এর দোকেনের সামনে রুমানকে আহত দেখে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সময় মিজান খাঁ এর দোকানের দুইটি প্লাষ্টিকের চেয়ার ও দোকানের সামনে থাকা তাকের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন্য গ্রুরুতর আহত হয় এর মধ্যে আয়ুব মোল্যার সমর্থক মো:রুমানের মাথায় কোপ লেগে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে,রুমানের মাথার ক্ষত স্থানে ১৪টি সেলায় দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বলে আয়ুব মোল্যা অভিযোগ করেন। এদিকে মিজান ভুঁইয়া গ্রুপের মহিয়ার ভুঁইয়ার ছেলে মো:হুমায়ন কবির (৩২),আলতাফ হোসেন খান এর ছেলে উবাইদুর খান (৩৭),রউফ শেখ এর ছেলে এনামুল শেখ (৩৩),হাত,পা ও মাথায় গ্রুরুতর আহত হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে অভিযোগগ করেন,মিজান ভুঁইয়া। চৌ-গাছা বাজারের দোকানী মিজান খাঁ অভিযোগ করে বলেন,আয়ুব মোল্যা গ্রুপের সন্ত্রাসী’রা আমার দোকানে হামলা করে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও দোকানের ৭০ হাজার টাকার মালামাল মোট ১ লক্ষ টাকাসহ মালামার লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান। অনুসন্ধানে আজ (২০মে) শুক্রবার সকালে চৌ-গাছা বাজারে গিয়ে দেখা যায়,মুদিদোকানী মিজান খাঁ’র দোকানের কোন মালামাল লুট হয়নি,বহালতবিয়তে দোকানদারী করছেন এসময় সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মিজান খাঁ সাংবাদিকের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে দ্রুত দোকান বন্ধ করে চলে যান। ৪নং আউড়িয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সভাপতি পরিচয় দানকারী মিজান ভুঁইয়া সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামকে জানান,আধিপত্য বিস্তারকে কে কেন্দ্র করে আমার লোকজনের উপরে আয়ুব মোল্যার সমর্থক’রা হামলা চালিয়ে আমার সমর্থকদের গুরুতর আহত করেছে এবং আমার সমর্থক’রা বর্তমান আহত অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে বলেও জানান। আয়ুব মোল্যা জানান,আমি সমাজ সসামাজীকতা করি এজন্য বুড়িখালিসহ আশে পাশের গ্রামের লোকজন আমাকে ভালোবাসে এবং বিপদে সবাই আমাকে পাসে পাই বলে আমাকে সন্মান ও ভালোবাসে,এটা মিজান ভুঁইয়া দেখতে পারে না এজন্যই গ্রামে আমার সাথে দলাদলি করে।আমিজান ভুঁইয়াসহ তার পরিবারের সকল সদস্য বিএনপি পন্থি,এরা সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের বিরোধীতাসহ ৯নং বুড়িখালি গ্রামে নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে এবং ওয়ার্ড বাসিকে নানা হুমকি ধামকিসহ হামলা মামলা করে আসছে। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে আমার সমর্থকদের উপরে হামলা করে,মিজান ভুঁইয়াসহ তার গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহীনি।আয়ুব মোল্যা আরো জানান,মিজান ভুঁইয়াসহ তার গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহীনি গত (১৮মে) বুধবার সন্ধার সময় চৌ-গাছা বাজারে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ওৎপেতে থাকে আমাকে হত্যার উদ্দেশে। এসময় আমাকে না পেয়ে আমার সমর্থকদের উপরে হামলা করে এবং রুমান নামের আমার এক সমর্থকে মাথায় কুপিয়ে গ্রুরুতর আহত করে এবং রুমানকে গুরুতর আহত অবস্থা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি এবং রুমানের মাথায় ১৪টি সেলায় দেয়া হয়েছে,বর্তমান রুমানের অবস্থা আশংকা জনক বলেও জানান।আউড়িয়া ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্ত,এস আই মো:নান্নু মিয়া ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান,মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে,খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন,লিখিত অভিযোগ পেলে দোশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান। স্থানীয় এক ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগ নেতা জানান,মিজান ভুঁইয়া’র পরিবার সারা জিবন বিএনপি করে এবং বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে মিজান ও তার ভাইরবিটা আমার উপরে হামলা করে আমার পা-প্রাই পঙ্গু হওয়ার অবস্থা এবং আমার উপরে হামলা করায় ওদের বিরুদ্ধে আমি মামলাও করে ছিলাম। মিজান ভুঁইয়া কবে কিভাবে স্বেচ্ছাসেবক-লীগে আসলো আমি ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের নেতা হয়েও নিজেই জানি না,মিজান ভুঁইয়াসহ তার পরিবারের সদস্যগণ সবাই বিএনপি করে। নতুন করে নড়াইলের নেতাদের হাত ধরে কবে কিভাবে,কেমন করে,স্বেচ্ছাসেবক-লীগে আসল আমিসহ আমার ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হয়তো জানেন না বলেও জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন