ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাক্তার প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখার অভিযোগ, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ করা জমিতে বেক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা

Uncategorized অন্যান্য

 !! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গত বৃহস্পতিবার ৬টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৪ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সরকারি ডাক্তার কর্তৃক সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় অফিস চলাকালীন সরকারি হাসপাতালে রোগী না দেখে প্রাইভেটে রোগী দেখার অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল এবং ঢাকা’র বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী ও উপসহকারী পরিচালক মোঃ কামিয়াব আফতাহি-উন-নবী’র সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গত বৃহস্পতিবার ২৬ মে, এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে অভিযোগের ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে টিম কথা বলে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণেরহ সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ কৃত জমি অবৈধভাবে দখলপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ আরিফ হোসেন এর নেতৃত্বে দশমিনা উপজেলা, পটুয়াখালীতে একটি এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। এনফোর্সমেন্ট চলাকালে টিম সরেজমিনে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বহরামপুর ইউনিয়স্থ আমতলী বাজার এলাকা পরিদর্শনে দেখতে পায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অধিগ্রহণকৃত জমিতে একটি ৩ তলা বিশিষ্ট বাড়ি সহ টিনসেড আরও কিছু বাড়ি রয়েছে এবং খালপাড়ের জমি দখল করে কাচা পাকা অনেক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। উক্ত জমি L.A Case No. 39 (W) 1978-79 এর মাধ্যমে অধিগ্রহণ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজা আহমেদ ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ভূমি) অভিযানকালে উপস্থিত থাকলেও ৩ তলা বিশিষ্ট বাড়ি সহ টিনসেড আরও কিছু বাড়ি এবং খালপাড়ের জমি দখল করে কাচা-পাকা অনেক দোকান পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মাণ সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ঠ রেকর্ডপত্র সরবরাহ করতে পারেনি এবং বিভিন্ন সময়ে উক্ত সরকারি জমি দখল হওয়ার অভিযোগ ওঠার পরও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে বিপুল পরিমান সরকারি সম্পত্তি বেখল হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর প্রেরণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন