সিএমপি চকবাজার থানা পুলিশ কতৃক অপহরণ নাটকের আসল রহস্য উদঘাটন

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ইমরুল (১৭),ছদ্মনাম বাবা ও মায়ের প্রিয় পুত্র। পড়ালেখা করে একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম বর্ষে।

এক পর্যায়ে সে নেশায় আসক্ত হয়ে যায় এবং নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য ইমরুল(ছদ্মনাম) বন্ধু, বান্ধব, পরিচিত সকলের কাছ থেকে টাকা ধার করতে শুরু করে।

পরবর্তীতে পরিচিতরা ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। এদিকে ইমরুল তার বাবা মার কাছেও অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারছিল না। অবশেষে ক্রাইম পেট্রোল কে অনুসরন করে বন্ধু সুমন (ছদ্মনাম) (১৭) কে নিয়ে বানালেন মিথ্যা অপহরণ এর নাটক।

গত ২৮ মে, সকাল সাড়ে ৮ টার সময় ইমরুল ও তার বন্ধু সুমন মিলে চকবাজার থানাধীন লালচাঁন রোডে তাদের পূর্ব পরিচিত মামুনের(ছদ্মনাম) চায়ের দোকানে চলে আসে। অবশ্য মামুন ও ইমরুলের কাছ থেকে দেড়হাজার টাকা পেত। দুই বন্ধু চা পান শেষে মামুনের ব্যবহৃত বাটন মোবাইল সেটটি কৌশলে নিয়ে যায়।
এই মোবাইল দিয়ে সুমন ইমরুলের মাকে ফোন করে ছেলে অপহরণ হয়েছে বলে জানায় ও মুক্তিপণ দাবি করে। পরিকল্পনা মত ইমরুলও পূর্ব মিথ্যা নাটক অনুসারে মাকে জানায়, তাকে গুলজার মোড় থেকে অজ্ঞাত নামা নোহা গাড়ীতে ৪ জন অজ্ঞাত লোক জোর করে তুলে নিয়ে নাকে রুমাল চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলে এবং তাকে ইলেকট্রিক শক প্রদান ও মারধর করছে, দ্রুত টাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

ইমরুল এর বাবা হন্তদন্ত হয়ে থানায় হাজির হয়। অপহরণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে সিএমপি চকবাজার থানা পুলিশ নির্ভরযোগ্য গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে।

অবশেষে বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে একপর্যায়ে মামুন ও সুমনের সন্ধান বের করে তাদেরকে মুখোমুখি করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। নাটকের রহস্য উদঘাটন হয়।


বিজ্ঞাপন