!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল বুধবার ৮ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা, জেলা প্রশাসন, গাজীপুর-এর কর্মচারীর বিরুদ্ধে অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্থ তালিকায় ভূয়া নাম-ঠিকানার অন্তর্ভূক্ত করে চেকের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ উত্তোলন পূর্বক আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক-জেকা, ঢাকা-২, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম, উপ-সহকারী পরিচালক আহাম্মেদ আশরাফ চৌধুরী ও উপ-সহকারী পরিচালক আফছার উদ্দিন এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গতকাল বুধবার ১ জুন একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে উক্ত দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় গাজীপুর এবং সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করা হয় এবং বেশ কিছু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। এ সংক্রান্ত আরো অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
পাসপোর্ট প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি-এর অতিরিক্ত অর্থ দাবির অভিযোগ যাচাইপূর্বক গতকাল বুধবার দুদক, সজেকা, কুমিল্লা’র উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) এইচ.এম আখতারুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানকালে দুদকের টিম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কুমিল্লায় প্রথমে ছদ্মবেশে পরবর্তীতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এ সময় অপেক্ষমান আবেদনকারী, পাসপোর্ট সংগ্রহের লাইনে অপেক্ষমান গ্রহিতা ও ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য, অফিসের পার্শ্ববর্তী ছবি তোলার স্টুডিও, পাসপোর্ট এর প্রাথমিক আবেদন করার জন্য বাণিজ্যিক কম্পিউটার সেন্টার পরিদর্শন এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উক্ত দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নুরুল হুদা জানান যে, অতিরিক্ত ফি আদায়ে কিছু দালাল সম্পৃক্ত রয়েছে। তিনি দালালদের পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশে বিরত রাখার জন্য সচেষ্ট রয়েছেন। টিম এ বিষয়ে শীঘ্রই কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আব্দালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সদর উপজেলা, কুষ্টিয়া-এর তহশিলদারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমির খাজনা আদায়ে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা-কুষ্টিয়া এর উপ-পরিচালক জনাব আলমগীর হোসেন এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আজ আরও একটা অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালনা কালে অভিযোগকারী সহ সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সেবা গ্রহীতাদের নিকট হতে খাজনা বাবদ সরকার নির্ধারিত অর্থের অতিরিক্ত কয়েকশ গুণ অর্থ দীর্ঘদিন যাবত আদায় করে আসছে। এছাড়া তিনি সেবা প্রত্যাশীদের নানা ধরনের হয়রানি সহ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন মর্মে সেবা প্রত্যাশীগণ জানান। যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে উক্ত অফিসে তিনি একচ্ছত্র দুর্নীতি করে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসি জানান। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৫টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।