পার্সপোর্ট অফিস গাজীপুর, নেত্রকোনা জেলা রেজিস্ট্রার এর কার্যালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড, বড়লেখা, মৌলভীবাজার-এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

 !! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৭ টি অভিযোগের বিষযেপদক্ষেপ  গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৪ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


 নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পার্সপোর্ট অফিস, গাজীপুরে দালালদের দৌরাত্ম্য, সেবা প্রদানে ঘুষ গ্রহণ সহ নানা অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ এর সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম, উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগে এবং উপ-সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট টিম বুধবার ৮ জুন, একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা শুরুর সাথে সাথে পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশে থাকা দালালরা পালিয়ে যায়। অভিযোগের বিভিন্ন বিষয়ে মো: আনিসুর রহমান, সহকারী পরিচালক, পাসপোর্ট অফিস, গাজীপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানান যে, মাত্র ৭ জন কর্মচারীদের দ্বারা অফিস চলছে বিধায় দালালরা সুযোগ নিচ্ছে। তিনি দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে নিয়মিত কাজ করবেন মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট প্রতিজ্ঞা করেন। এ বিষয়ে খুব দ্রুত এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

নেত্রকোনা জেলা রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়ের রেকর্ড কিপার চন্দন সরকার, দলিল তল্লাশকারক রতন মিয়া, দলিল তল্লাশকারক হেদায়েত খান পাঠান, দলিল তল্লাশকারক নজরুল ইসলাম ও দলিল তল্লাশকারক সাইফুর রহমান এর বিরুদ্ধে নকল উত্তোলন বাবদ সরকারী ফি এর অতিরিক্ত ২০০ টাকা বাড়তি ঘুষ আদায় এর অভিযোগ সংক্রান্তে দুদক, সজেকা, ময়মনসিংহ এর সহকারী পরিচালক বুলু মিয়ার নের্তৃত্ব আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে জেলা রেজিস্ট্রার খন্দকার জামীলুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে জানান অভিযোগ সংক্রান্তে তিনি কিছু জানেন না এবং সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় না। রিসিটের মাধ্যমে উক্ত টাকা গ্রহণ করা হয় এবং চালানের মাধ্যমে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। অভিযানকালে অভিযোগ সংক্রান্তে রেকর্ডপত্র সরবরাহ ও পর্যালোচনা করা হয়েছে। এছাড়া সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতাগণকে নকল উত্তোলন বাবদ অতিরিক্ত টাকা/ঘুষ প্রদান সংক্রান্তে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযুক্ত চন্দন চন্দ্র সরকার, রতন মিয়া ও হেদায়েতকে অভিযোগ সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাদের সতর্ক করা হয়েছে। অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, বড়লেখা, মৌলভীবাজার-এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনাই নদী ও দর্শনা নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণ কাজের প্রস্থ এবং গভীরতা নীতিমালা অনুসরণ না করার অভিযোগে দুদক, সজেকা-হবিগঞ্জ এর উপপরিচালক এরশাদ মিয়ার নেতৃত্ব আজ আরও একটা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুদক টিম সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিমকে অভিযোগ সম্পর্কে জানান যে, এখন বর্ষাকাল বিধায় কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। নদীর পানি বৃদ্ধি ফলে দুদক টিমের পক্ষে এখন কাজের পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদার জানায় শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। প্রকল্পে ৩০ ভাগ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী বিল পরিশোধের জন্য দুদক টিম নির্দেশনা প্রদান করেছে। প্রয়োজনে টিম পুনরায় অভিযান পরিচালনা করবে বলে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপন করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *