নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ কল পেয়েই স্পিডবোটে যেতে হল ডাঃ আরিফকে মহেশখালী,মা ও শিশুকে বাঁচাতে সক্ষম হল স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দল। সম্প্রতি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন প্রসূতি মায়ের অপারেশন করতে গিয়ে মা ও শিশুর জীবন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পরে যায়। উপস্থিত চিকিৎসকগন তাদের সর্বচেষ্টা করেও যখন অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না, তৎক্ষণাৎ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ’র সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডাঃ মোঃ আরিফ হোসেন কে ফোনে জানানা হয়। রোগীর অবস্থা শুনেই সাথে সাথে তিনি স্পিডবোটে করে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী দ্বীপে পৌঁছে যান এবং মা ও শিশুকে বাঁচাতে সক্ষম হন। প্রায় ৪ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে,মহেশখালী একটা দ্বীপ উপজেলা।যেখানে দ্বীপবাসির জন্য রয়েছে একমাত্র চিকিৎসা সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ভৌগলিক কারণে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়,যে কোন সঙ্কটাপন্ন রোগীকে সড়কপথ দিয়ে যেতে বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যপার এবং রোগীদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তারপরও ইতোমধ্যে স্বল্প লোকবল আর প্রতিকূলতার মধ্যেও এই কমপ্লেক্সেই গত মে মাস থেকে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে এবং প্রায় ৩ সপ্তাহের মধ্যে ২৯টি অপারেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়ছে এই দ্বীপাঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
তবুও সেদিন, সেই মা ও শিশুর অবস্থা খুব বেশি খারাপ হওয়ায় ডাঃ আরিফ কে ছুটে যেতে হয়েছিল কক্সবাজার থেকে মহেশখালী দ্বীপে। এবং শেষ পর্যন্ত মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরো চিকিৎসক দল নিয়ে বাঁচাতে পেরেছেন মা ও শিশুকে।দুইদিন পর রোগীকে সুস্থ বাচ্চাসহ বাড়ি পাঠানো হয়।
সেদিনের অল্প সময়ের আহবানে সাড়ায়, হাজার ব্যস্ততার মাঝেও ডাঃ আরিফ যেভাবে মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহফুজুল হক ও তাঁর দল একটি পত্র প্রকাশের মাধ্যমে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সকলে।